হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হারেছ উদ্দিন ফকির ও তার স্ত্রী রাশিদা আক্তার খানমকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায়
আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে দ্রুতবিচার আইনে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক হারেছ উদ্দিন ফকিরের বসতবাড়িতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রাদি নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব, শহীদুল, আবু তালেব, আজমল ও টিপুসহ তাদের লোকজন হামলা করে। এ সময় বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটসহ ওই সাংবাদিককে মারধর করে এবং তার স্ত্রীকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় হামলাকারীরা।
পরে তাদের স্বজনরা ছুটে গিয়ে হামলাকারীদের কবল থেকে সাংবাদিক হারেছ উদ্দিন ফকির ও তার স্ত্রী রাশিদা আক্তার খানমকে উদ্ধার করেন।
এর আগে ঘটনার দিন সকালে সাংবাদিক হারেছ উদ্দিন ফকিরের বসতবাড়ি সংলগ্ন ফিশারি পুকুরের মাটি হ্যান্ডট্রলির মাধ্যমে সরকারি রাস্তা দিয়ে অন্যত্র সরানোর সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে বাঁধা দেন।
এ সময় সাংবাদিক হারেছ উদ্দিন ফকিরের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় ওই সাংবাদিককে গালিগালাজ করেন এবং বাঁধাদানের পরও এ রাস্তা দিয়ে মাটি পরিবহন করা হলে তাদেরকে খুন-জখমের হুমকি দেন।
পরে এরই জের ধরে ওইদিন দুপুরের দিকে সাংবাদিকের সরিষা ক্ষেত বিনষ্ট করার জন্য ক্ষেতে ছাগলের পাল ছেড়ে দিয়ে পাশে প্রতিপক্ষের লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে ছাগল তাড়াতে ওই সাংবাদিক সরিষা ক্ষেতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে সাংবাদিককে দৌড়িয়ে তার বসতবাড়িতে নিয়ে গিয়ে হামলা করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটসহ তাদেরকে হত্যাচেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজের সাথে কথা হলে তিনি মামলা রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আদালতের নির্দেশে দ্রুতবিচার আইনে ১৪ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।