নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে পাথর বোঝাই ডিঙ্গি নৌকা ডুবে নিখোঁজের একদিন পর শাহীন মিয়ার (২৭) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের চৈতাটি খেয়া-ঘাটের পাশে ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত শাহীন বারইপাড়া গ্রামের রুমালী মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও দুর্গাপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় সোমশে^রী নদীতে গত সোমবার ছোট একটি ডিঙ্গি নৌকায় করে তেরি বাজার খেয়া ঘাটের পাশে বালু উত্তোলনের বাংলা ড্রেজার মেশিন থেকে পাথর সংগ্রহ করছিলেন। নৌকায় দুজন মিলে সারদিন পাথর সংগ্রহ শেষে সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা দুজনের মধ্যে স্বপন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও স্রোতের টানে নিমিষেই তলিয়ে যায় শাহীন।
ঘটনার পরপরই নিখোঁজের সন্ধানে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা।
পরে রাতে উদ্ধার অভিযানের কাজে নামে ময়মনসিংহের ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল। টানা রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে গেলেও নিখোঁজের কোনো সন্ধান না পেয়ে অবশেষে অভিযান সমাপ্ত রেখেই চলে যান উদ্ধারকারীরা।
স্থানীয়রা বলছেন মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় ভাবে এলাকাবাসী উদ্ধার কাজ শুরু করলেও অংশ নেয়নি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর দুপুরে মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধারের পর নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ্ নুর এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা দুপুরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়েছি নিখোঁজ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে স্থানীয় তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, একই স্থানে গেলো নয় মাসে ৪ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়ে পরবর্তীতে লাশ ভেসে ওঠে। এর কারণ হিসেবে স্থানীয়রা মনে করেন অপরিকল্পিত ভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করার জন্য বার বার এমন ঘটনা ঘটছে। তারা আরো জানান, পাথর উত্তোলন সরাকারী ভাবে নিষেধ থাকলেও এক শ্রেণির মানুষ ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় কওে পাথর উত্তোলন করে বিক্রি কওে একটা সিন্ডিকেট।