নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে পাখিমা আক্তার (৪২) নামে এক নারীর মাথা ফেটেছে। আর এ ঘটনার পরপরই জ্ঞান হারান আহত নারী পাখিমা। এ সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় মেয়ে মারুফা আক্তার।
সোমবার রাত ৯টার দিকে মা মেয়েকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মেয়ে মারুফাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জৈনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পাখিমা জৈনপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের স্ত্রী।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক সুলতান আহমেদ স্থানীয় কেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
পাখিমা’র মেয়ে মারুফা জানায়, আমাদের বাড়ির সীমানা ভেতর নাকি শিক্ষক সুলতানের জায়গা রয়েছে। এমন দাবি করলে মায়ের সাথে উনার তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে আঘাত করতে আসলে আমি বাধা দেই।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার হাতে আঘাত করেন। ফলে আঘাত পেয়ে আমি পিছু হটলে মায়ের মাথায় আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার মা জ্ঞান হারান। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানায় মারুফা।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অলক কান্তি তালুকদার জানান, পাখিমা এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।