নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) প্রত্যাহার দাবী করে মানববন্ধন করেছে উপজেলাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা হাসপাতাল চত্বরে এ মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এর আগেও গত সপ্তাহে এলাকাবাসী একই দাবীতে মানববন্ধন করে। এতে মোহনগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় ব্যানারে সাম্প্রতিক সময়ে এই হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো তুলে ধরেন তারা।
এতে আমিরুল ইসলাম সেলিম, নূরে আলম লিজন, মাহবুব আলম সেলিম, সারোয়ার মুর্শেদ, ফারুক হোসেন, রহুল আমিন রাজিব, ইউসুফ রহমান বাদশা, এস এম স্বপ্ন আহমেদ, মুন তাসিন, তরিকুল ইসলাম তারেকসহ এলাকার শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে ইউএইচএফপিও নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের নানা অনিয়ম তুলে ধরে দ্রæত প্রত্যাহার দাবী করে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান এলাকাবাসী।
বক্তারা বলেন, এই হাসপাতালটিতে কয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। এমনকি পার্শবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার লাখো মানুষ কাছে হওয়ায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নেন। কিন্তু হাসপাতাল প্রধানের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির কারণে রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দরপত্রের বাইরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণের সরকারি গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাত, অকারণে চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট করে রাখাসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে ইউএইচএফপিও’র প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, অদক্ষ, একরোখা ইউএইচএফপিও’র কারণে এই এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাকে দ্রæত প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
উল্লেখ্য গত বুধবার জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে একই সময়ে দুই ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমন নানা অনিয়মের কোন তদন্ত করেন না। পাশাপাশি তিনি নিজেও একের পর এক ওনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলা হয় মানববন্ধনে। এদিকে ইউএইচএফপিও নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, কিছু স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনৈতিক দাবী দাওয়া মেনে নেয়া হয় না বলেই তারা কিছু মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে উস্কে দিচ্ছে।