সারাদেশে ডাকা বিএনপি-জামায়াতের ৩য় ধাপের অবরোধে বুধবার রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়েছে। বিএনপির মশাল মিছিলের পরপরই ক্ষমতাসীন দলের মিছিল বের হয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর কেন্দুয়া পৌর শহরের বাসাসহ বেশ কটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, নেতাকার্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে কেন্দুয়া পৌরশহরে অবরোধ সমর্থনে মশাল মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভুইঁয়া দুলাল এর সমর্থকরা প্রথমে মশাল মিছিল বের করে। পৌরসভার কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কের সাউদপাড়া এলাকা থেকে মশাল মিছিলটি নিয়ে পৌরশহরের দিগদাইর মোড়ে শেষ করে। মশাল মিছিলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবরোধ সমর্থনে বিভিন্ন ¯েøাগান দিয়ে থাকেন। এসময় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এর পরপরই ক্ষমতাীন দলের উদ্যোগে পৌর শহরের পুরো এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে মিছিলকারীরা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইলাম হিলালীর বাসা ভাংচুর করে চেয়ার টেবিসহ ভাংচুর চালায়।
ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী জানান, আমি কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র “সদস্য সচিব”। কেন্দুয়া শহরের থানা সংলগ্ন আমার পুরাতন বাসভবনে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ভাংচুর লুটপাট চালিয়েছে। শুধু আমারটাই না তারা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর-লুটপাট করে।
উপজেলা যুবদলের ১নং যুগ্ন আহবায়ক নাসির খন্দকারের ব্যবসায়িক কার্যালয়ের সকল আসবাবপত্র, কম্পিউটার লুটপাট করে মোটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক নুর আলম জেসির শহরের অত্যাধুনিক কাপড়ের দোকানে লুটপাট করে তার মোটরসাইকেলটি ব্যাপক ভাংচুর করে।
যুবদল নেতা আল আমিনের ঔষধের দোকান ভাংচুর করে। আমি এই ধরনের ঘৃন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, বিএনপি মশাল মিছিল করেছে। আওয়ামীলীগ শান্তি মিছিল করেছে।
এসময় হিলালী সাহেবের পৌরসভার বাসার গেটের বাইরে কিছুটা ভাঙচুর হয়েছে। আর কয়েকটা চেয়ার। এগুলো কারা করেছে জানা নেই। তবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কেন্দুয়ার পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।