Saturday, April 27, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদকেন্দুয়া উপজেলাকেন্দুয়ায় উন্নয়ন মূলক কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

কেন্দুয়ায় উন্নয়ন মূলক কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

সচেতন বলছেন, সরকারের যেকোন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প এলাকায় কাজের বিবরণসহ সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কার, মসজিদের অযুখানা সংস্কার, ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। যার প্রকল্পের ব্যয়ের কোন উল্লেখ নেই।

এই প্রকল্পের কাজের জন্য কতটাকা বরাদ্দ ছিল তার কোন উল্লেখ্যযোগ্য হিসাব না থাকায় উন্নয়ন মূলক কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

এই প্রকল্পের স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে উপজেলা মানবাধিকার কর্মী শাহ আলী তফিক রিপন তার ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করেছেন, “এবার টেন্ডার বিহীন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরে করা হলো ৪৪ লক্ষ টাকার কাজ। যার স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল কয়েকটি দূর্নীতি সংক্রান্ত পোস্ট আমার দৃষ্টি গোচর হয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, টেন্ডার বিহীন ভাবে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, মসজিদের অযুখানা সংস্কার, ড্রেন নির্মান করা হয়েছে যার প্রাক্কলিত ব্যয়ের কোন উল্লেখ নেই, কাজের কোন সাইনবোর্ড নেই। এই কাজের সকল বিষয় পরিস্কার হওয়া উচিত।

সংস্লিষ্ট দপ্তর অধি দফতর এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত দাবী করছি। অন্যথায় আমরা এর বিরুদ্ধে অধিকতর প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হবো”।

এই বিষয়ে জানতে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের আভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল।

এই টাকা দিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তা সংস্কার, মসজিদের অযুখানা সংস্কার, ড্রেন নির্মান ও ইউএনও বাসভবনের এক পাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তা সঠিক না। উপজেলা পরিষদে যে কাজ গুলো করা হয়েছে তা অত্যন্ত প্রয়োজনী ছিল তাই করা হয়েছে।

কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশল এলজিডি অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ আর্থবছরের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে উপজেলা পরিষদের ৪০ লক্ষ টাকা উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরে উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ছিল। উক্ত টাকা দিয়ে সরকারের যতাযত নিয়ম অনুসরণ করে, ‘আর এফ কিউ’ এই পদ্ধতির মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ অভ্যান্তরে উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments