Tuesday, May 21, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যখুনের দায়ে র‍্যাবের হাতে আটক পরকিয়া প্রেমিক

খুনের দায়ে র‍্যাবের হাতে আটক পরকিয়া প্রেমিক

এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের পর অন্তঃস্বত্তা নারীকে পিটিয়ে গর্ভপাত সহ হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়াকে (৩২) আটক করেছে র‌্যাব-১৪।

র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আশরাফুল কবীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র‌্যাব-১৪ এর একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার সাতাশি গ্রামের তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আসামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আতকাপাড়া গ্রামের মোঃ আলাল উদ্দিন তার মেয়ে সুফিয়া খাতুন (২৭), তার আট ও ছয় বছরের ০২ সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার চন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল হক মেম্বারের কলোনীতে থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করত।

একই জেলার দূর্গাপুর উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের আসামী মোঃ সোহেল মিয়া (৩২) একই কলোনীতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তারা একই জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে আসামী মোঃ সোহেল মিয়া তাদের সাথে শখ্যতা গড়ার মাধ্যমে মোঃ আলাল উদ্দিনের বাসায় প্রায়শই আসা যাওয়া করত। আলাল উদ্দিনের বাসায় আসা যাওয়ার সুযোগে আসামী মোঃ সোহেল মিয়া আলাল উদ্দিনের বিবাহিত মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী সুফিয়া খাতুন (২৭) এর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

রাজমিস্ত্রির কাজ না থাকায় আলাল উদ্দিন তার মেয়ে এবং মেয়ের দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে আসলে, আসামী মোঃ সোহেল মিয়া প্রায়শই আলাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসত।

এক পর্যায়ে আসামী মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাবেক স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটায় এবং গত ২০২৩ সালের ২১ মার্চ তারিখ সহ পরবর্তী বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে তার নিজ বসত ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম এক পর্যায়ে অন্তঃসত্বা হলে সুফিয়া খাতুন আসামী সোহেল মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ঐ সময় আসামী মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চাপ দেয়। কিন্তু ভিকটিম সুফিয়া খাতুন তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ আগষ্ট মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিমের বসত ঘরে গিয়ে পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ পর তার মৃত্যু হয়। ভিকটিমের বাবা মোঃ আলাল উদ্দিন বাদী এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments