Sunday, May 19, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদকেন্দুয়া উপজেলাগৃহবধু হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে আসামী কারাগারে

গৃহবধু হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে আসামী কারাগারে

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় যৌতুকের কারনে স্ত্রী কাকলি আক্তারকে (২৩) হত্যা মামলায় হাজির হতে এসে নদন দেবর সহ স্বামী সুফল মিয়া কারাগারে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩ এর বিচারক মো. কামাল হোসেন তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হচ্ছে নিহত কাকলির স্বামী সুফল মিয়া, ভাই শিপন মিয়া, বোন হোসনে আরা ও অপর ভাই রিমন মিয়া।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট মো. আবদুর রশিদ ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, আসামী সুফল মিয়া ও তার ভাই বোনকে নিয়ে স্ত্রী কাকলিকে হত্যা করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালালেও সুরতহাল রিপোর্টে প্রকৃত হত্যার ঘটনা উঠে আসে। যে কারনে বিজ্ঞ বিচারক স্বাক্ষ্য প্রমাণ দেখে আসামীপক্ষের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি আরো জানান, আসামী হাজিরা দিতে আসার খবর হয়তো কেন্দুয়া থানার পুলিশ পাননি। পেলে পরবর্তী ব্যাবস্থা নিয়ে রিমান্ডের আবেদন করার জন্য আমরা অনুরোধ করবো।

জানা গেছে, জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর হাসুয়ারী গ্রামে যৌতুকের জন্য গত ২০ জানুয়ারী কাকালিকে হত্যা করে স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বেগম নামের শ^াশুড়িকে আটক করে।

পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে কাকলির বাবা আব্দুর সাত্তার বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে আটক শ^াশুরি দুদিন পর জামিনে বেরিয়ে যান। ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর পলাতক অসামীরা স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন নিতে আসে বৃহিস্পতিবার। বিকালে বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

নিহতের পিতা আব্দুর সাত্তার বলেন, তিনি তার একমাত্র মেয়ে হত্যার সুষ্টু বিচার চান। আর কোন মেয়ের জীবন যাতে এভাবে অকালে হারিয়ে না যায় সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments