Tuesday, May 21, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদদূর্গাপুর উপজেলাজন্মভূমিতে বেড়াতে এসে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু

জন্মভূমিতে বেড়াতে এসে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে নিজ জন্মভূমিতে স্ত্রীসহ বেড়াতে এসে ভারতীয় নাগরিক নরেশ মানকিনের (৭০) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজিবি-বিএসএফের সহায়তায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ বিজয় পুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মীর মাহবুবুর রহমান।

দুর্গাপুর থানার এস আই সৌরভ সাহা জানান, ৭০ বছরের মৃত বৃদ্ধ নরেশ মানকিন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলাধীন গোপালপুর গ্রামের প্রনাশ মানকিনের ছেলে। মাতৃতান্ত্রিক হওয়ায় তিনি বৈবাহিক অবস্থায় ভারতের তোরা জেলার বাঘমারা থানার মাসিঘাট এলাকায় থাকতেন। এরপর থেকে তিনি ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু জন্মগত ভাবে তিনি বাংলাদেশের গোপালপুরের।

গত ২৭ মার্চ তিনি দুর্গাপুর উপজেলার নলুয়াপাড়া বিওপির আওতাধীন গোপালপুর গ্রামে বোন প্রেমিলা মানকিনের বাড়িতে আসেন স্ত্রীসহ। কোন চোরাচালানে আসছেন কিনা জানতে চাইলে পুলিশ জানায় শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ থাকায় বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য আসেন। ভারতে যাবার পর এর আগে আর তিনি আসেননি। মঙ্গলবার সকালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয় বোনসহ স্বজনরা। পরে হাসপাাতলে নিয়ে আসলে ষ্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান নরেশ। দুপুর থেকে দুই দেশের যোগাযোগের পর ডাক্তারের ডেথ সার্টিফিকেটসহ সন্ধ্যায় বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট দিয়ে পাশের বাঘমারা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজয়পুর ক্যাম্পের বিজিবি ও বাঘমারা ক্যাম্পের বিএসএফের সহায়তায় আমরা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পেরেছি লাশ।

এদিকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তানজিরুল রায়হান জানান, হাসপাাতালে আসার আগেই মারা গেছে। জীবিত আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কুঝতে পারতাম কি হয়োিছলো। যে কারণে কোন কারণ জানা যায় নি। তবে দেখে কোন অস্বাবাবিক মৃত্যু মনে হয় নাই।

এদিকে বিশ^স্থ একটি সূত্র জানায়, ভারত বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে অহরহ মাদক কারবারিরা আসা যাওয়া করে। ভারতীয় গরু, শাড়ি, কসমেটিকসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা চলে সীমান্ত দিয়ে। তবে কিছু কিছু ভারতীয় গরু এবং শাড়িসহ নানা পন্য মাঝে মধ্যে বিজিবি আটক করলেও কারা এগুলো পাচার করে তাদেরকে ধরতে পারেন না সীমান্তরক্ষীরা। এদিকে সম্প্রতি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে শহেরের মোক্তারপাড়াস্থ এস এ পরিবহন কোরিয়ার সার্ভিস জেলা কার্যালয়সহ নেত্রকোনা জেলায় বেশ কটি চোরাচালান ধরেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments