Tuesday, April 30, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদনেত্রকোনা সদর উপজেলাজেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাপিত হলো বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাপিত হলো বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার

সোহান আহমেদ:
অফিস ফটকে প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়বে ‘সরকারি কর্মচারীগণ জনগণের সেবক’ বঙ্গবন্ধুর এমন উক্তি সম্বল্লিত ছবি। পাশেই দেখা যাবে যুদ্ধের নানা কৌশলের ছবিসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করা বাধানো ছবি। আর এর মূল কারণ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতেই নেত্রকোণায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এই প্রথম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে কার্যালয়ের নিচতলায় প্রধান ফটকে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু কর্ণারের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশিক নূর, মামুন খন্দকার, আব্দুল্লাহ আল মনসুর সহ কার্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা ও সকল কর্মচারীবৃন্দ। উদ্বোধন শেষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে স্থাপিত জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গমাতাসহ নারীদের অবদানের স্থিরচিত্র ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে কার্যালয়ে প্রবেশকারীগণও এসকল ছবি দেখে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি উৎসাহ পাচ্ছেন।

প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থিরচিত্র দেখতে দেখতে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠার সময় প্রাঞ্জল সিরাজ বলেন, পরিছন্ন এক কার্যলয় মনে হচ্ছে। চিরচেনা সেই পরিবেশ থেকে একেবারেই ভিন্ন। সেবা প্রত্যাশিরা সৌন্দর্য দেখে প্রথমেই বিমোহিত হবেন। এরপর প্রধান ফটক থেকেই জানা যাবে কোথায় কি সেবা পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় দুর্লভ অনেক যুদ্ধকালীন স্মৃতি এখানে দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। যিনি আসবেন এবং যাবেন মনটাও মেঘমুক্ত হয়ে বের হতে পারবেন এমন সৌন্দর্য দেখে এটাই আমার মনে হচ্ছে বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মোট ২৬ টি যুদ্ধকালীন এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ছবি, সিটিজেন চার্টার্ট, জেলার মানচিত্র, বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য জি আই পন্য, পদ্মাসেতুসহ উন্নয়ন মূলক ছবি ও পরামর্শ ডেস্কসহ অর্ধশত ছবি রাখা হয়েছে।

মূলত জন সাধারণ ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রেখে সেবা প্রদান করবেন। এতে নিজের কাজটা সঠিকভাবে সেবা গ্রহিতার প্রতি পৌঁছানোর এক মনোভাব তৈরী হবে।

সেইসাথে কার্যালয়ে আসা সেবা গ্রহীতারাও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানবে এবং আদর্শ চেতনা ধারণ করে সেবা গ্রহণের লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি আরও জানান, যুদ্ধে যে নারীদের এতো অবদান সেগুলো আগে তেমন দেখাই যেতো না।

তখনকার সময়ে পতাকা হাতে, মিছিলে যাচ্ছে নারীরা। এগুলো বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামনে এনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হলে এগুলোও দেখা প্রয়োজন। সেবা গ্রহীতারা এসে দেখবেন জানবেন।

তাছাড়া জণগনকে সেবা দেয়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধু যে চমৎকার বাণী দিয়ে গেছেন এটি প্রথমেই চোখে পড়বে। একজন কর্মচারী যখন বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি পড়বে তখন মন থেকে ভালো সেবা দেয়ার চেষ্টা করবে। নিজেকে অন্য কিছু ভাববে না। এই জন্যে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি রাখা হয়েছে সকলের নজরে পড়ার জন্য।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments