সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনার দূর্গাপুর সীমন্ত ঘেষা পাহাড়ি নদী সোমেস্বরী দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ডুকছে কয়লা। ভারতের বাঘমারা এলাকা ও নেত্রকোনার বিজয়পুর পয়েন্ট দিয়ে কয়লার বস্তায় করে আনা হচ্ছে অবৈধ মাদক ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মদও। যেগুলোর অধিকাংশই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় সিন্ডিকেটের তৎপরতায় দীর্ঘ সময় ধরে এসকল অবৈধ চোরাচালান চলমান থাকলেও ধরা পরছে মাত্র গুটি কয়েক চালান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, এই চোরাচালনে জড়িতরা সকললেই প্রায় মাদক কারবারী।
ভারতীয় কম্বল, চিনি, কয়লা, কসমেটিক আনার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ অবৈধ পথে ভারতে পাচার করছে তারা। সম্প্রতি (৯ সেপ্টেম্বর) শাবিরার ভোরে সোমেশ^রী নদীতে কয়লার একটি বিশাল চালান আনা হলেও মলিকহীন ধরা পরে স্থানীয় বিজিবির হাতে।
পরে তা উপজেলা প্রশাসন ও কাস্টমসের সহায়তা নিলামে বিক্রয় করা হয়। যা আবার চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরাই কিনে নিয়ে যান। কারণ পরবর্তীতে এই নিলাম রিসিট ব্যবহার করে অবৈধ পথে আনা কোটি টাকার কয়লা বিক্রি করেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। এভাবেই চলে আসছে নেত্রকোনার বিভিন্ন পথের চোরাচালন।
অনুসন্ধানের জানা গেছে, জব্দকৃত কয়লাগুলো এনেছিলেন স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ী, মাছ সোহেল, লেংরা সোহেল, আলম, ফারুক, ও সোলাইমান। বর্তমান সময়ে চোরাচালানিতে তারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।