বাবার কাছ থেকে জমি লিখিয়ে নিতে রান্না বানার কাজে ব্যবহৃত বটি দিয়ে মাথায় কুপ দিয়ে হত্যার অভিযোগে মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বৃদ্ধ মা।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধ মা বাদী হয়ে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মেয়েকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ আটক সাহেরা খাতুন(৩৮) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলার বিবরণে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের বৃদ্ধ জাহের উদ্দিন মুন্সির (৮০) নিজ ঘরের মেঝেতে খড়ের বিছানা থেকে শুক্রবার বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে বৃদ্ধ মা ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে বৃদ্ধ মা হাজেরা আক্তার আনেছা (৭০) বাদী হয়ে স্বামী পরিত্যক্তা নিজ বাড়িতে আশ্রিত মেয়েকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে তাদের বাড়িতে চলে আসে। প্রায়সময় বাবার কাছ থেকে জমি লিখে নিতে চাপ দিতো। সেই সাথে হত্যার হুমকিও দিতো।
মেয়ে চৌকিতে গুমাতো। আর তারা বৃদ্ধ বৃদ্ধা মাটিতে খড়ের গাদার উপর বিছানা করে ঘুমাতেন।
প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে চৌকিতে ঘুমায়। আর তারা স্বামী স্ত্রী নীচে খড়ের উপর বিছানা করে ঘুমান।
পরে ভোরে ওঠে দেখেন মেয়ের হাতে রান্না করা রক্তমাখা বটি। এরপর কান্নাকাটি করলে সকালে মেয়ে দা ধুয়ে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে ভান ধরে তার বাবাকে মেরে ফেলার। কিন্তু মেয়ের মাকেও ভয় দেখানোর কারণে প্রথমে কিছু বলেন নি।
পরে তিনিই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
নিজেকে বিধবা করার বিলাপ শুনে এলাকাবাসীর খবরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে শনিবার মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মেয়েকে গ্রেফতার দেখিয়ে কীর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দির পর জেলা পুলিশ এ নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন।