Friday, May 17, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদনেত্রকোনার যে প্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ

নেত্রকোনার যে প্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ

নেত্রকোনার পুর্বধলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের একজনও পাস করেনি। গত বছর চারজন পরীক্ষার্থীর মাঝে একজন মাত্র পাস করলেও এবার ১৯ জন অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর কেউই পাস করেনি। এটি হচ্ছে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা উপজেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এমন ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান দুঃখ প্রকাশ করলেও তার স্ত্রী বলেছেন অটো পাসের পরিণাম এটি।

জানা গেছে, উপজেলার খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষার্থী এবছর মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে মোট দ্বাদশ শ্রেনিতে মোট শিক্ষার্থী ছিলো ৪৩ জন। তারমধ্য থেকে ১৯ জন এবার পরীক্ষায় অংশ নিলেও তাদের একজনও পাস করতে পারেনি। গত বছর চারজন অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মাঝে একজন পাস করে। তারও আগের বছর ১১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮ জন পাস করেছিলো। এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে প্রথমে কলটি রিসিভ করেন অধ্যক্ষের স্ত্রী কামরুন্নাহার রুমী। তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন অটোপাসের শিক্ষার্থী সবাই।

জানা গেছে, ১৯৬২ সনে প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা বিস্তারে উন্নয়ন করতে ২০০৪ সনে উন্নীত করা হয় উচ্চ মাধ্যমিকে। এলাকার শিক্ষানুরাগী নুরুল হক পরিবার পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন। তিনি স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়ে এটিকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এমন রেজাল্টে দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মো. আবুল খায়ের জানান, এটি কৃষি নির্ভর এলাকা। এই এলাকার মানুষ তেমন সচেতন নয়। আমরা তাগিদ দিয়েও তাদেরকে রেগুলার করতে পারিনি। তারমধ্যে ২০০৪ সনে প্রতিষ্ঠত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানটি ননএমপিও থাকায় এনটিআরসিএ শিক্ষক নেই। মাত্র তিনজন আমরা। এছাড়াও দুজন পার্ট টাইম। পার্ট টাইমের শিক্ষকরা ওই অভিবাবকদের মতো গা ছাড়া। যে কারনে এই রেজাল্ট হয়েছে। তারমধ্যে এবারের সবগুলা শিক্ষার্থী অটোপাসের ছিলো। অনেকে পরীক্ষার আগের দিন বই কিনে পড়েছে।

এদিকে সুশীল সমাজের নাগরিকরা বলছেন, অটোপাসের কারনে গ্রামের মানুষদের মাঝে এক ধরনের বিশ^াস হয়ে পড়েছে যে এমনিতেই সব গুলোতে পাস করবে। আর এই বিশ^াস থেকে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনই কম করেছে। ফলে এবার এমন রেজাল্ট হয়েছে। শুধু যে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের কেউ পাস করেনি এমন না। জেলার সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসের হার খুব খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো কোন উন্নয়নই নেই।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments