নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা না দেয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোলে জনসভা পন্ড।
জানা গেছে, নেত্রকোনা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মাঠে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
তিনি সম্প্রতি আসনটির তিনবারের এমপি রেবেকে মমিনের প্রয়ানে উপ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
পরে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট ছাড়াই এমপি নির্বাচিত হন।
এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার নৌকার মনোনয়ন নিয়ে আসেন। অন্যদিকে আসনটিতে বেশ কয়েকবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এবার দলীয় মনোনয়ন না চেয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শফি আহমেদ। কিন্তু শফি আহমেদের মনোনয়নটি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া এই আসনে নৌকার সাথে লড়ার কোন প্রার্থী নেই। যারা আছেন তারা নামে মাত্র। লাঙ্গলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে নামেই রয়েছেন লিয়াকত আলী খান এডভোকেট, তৃনমূল বিএনপি থেকে আল মামুন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মুশফিকুর রহমান।
ফলে ভোটারদের মাঝে কোন ধরনের ভোট নিয়ে মাথা ব্যাথা না থাকায় ভোটের দিন ভোটার আনতে কেন্দ্রে কাজ করে যাচ্ছেন নৌকার প্রার্থী।
যে কারণে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা মিছিল ও জনসভা ছাড়াও গণ সংযোগ করে যাচ্ছেন।
এ সকল পথসভা বা জনসভায় নিজ দলীয়দের মধ্যেই চলছে সংঘর্ষ হট্টগোল।
মঙ্গলবার বিকালে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট গ্রামের পাঁচহাট বাজারে বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক জনসভার আয়োজন করে। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহফুজুর রহমান।
সেখানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ঠেলাধাক্কাসহ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে জনসভাটি পন্ড হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জনসভায় সভাপতিত্বকারী মাহফুজুর রহমান জানান, তার বড় ভাই মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান। সময় কম থাকায় অনুষ্ঠান ছোট করা হয়েছে। এ জন্য তিনি মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছেন। এর ফলে কয়েকজন একটু ঠেলাধাক্কা করেছে। এই হট্টগোল হয়েছে একটু।
পরে বিষয়টি বসে সবাই মীমাংসা করে ফেলেছি। এইটা তেমন কিছু না। জনসভাও শেষ হয়েছে।
যেহেতু নির্বাচন নিজেদের মধ্যে যাতে মন কালাকালি না থাকে তাই সবাই মিলে বসে এর মীমাংসা করা হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে মদন উপজেলাতেও নৌকার নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী দুটি পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে এক ছাত্রলীগের নেট আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।