কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মা দেবী দুর্গার বিদায়ের মাধ্যমে নেত্রকোনায় প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিজয় দশমীতে দিনব্যাপী পূঁজা অর্চনা শেষে সন্ধ্যা থেকে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিসর্জন দেয়া হয়।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের প্রতিমা বিসর্জন সন্ধ্যা থেকে শুরু হলেও পৌর শহরের প্রতিমা বিসর্জন প্রতিবারের ন্যায় রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে বিকাল থেকে বিভিন্ন মন্দিরে যেনো পূজায় বিঘœ না ঘটে সে জন্য মন্দির এলকায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক বাড়িয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। জোরদার করা হয় পুলিশি টহল। বিকেল থেকে শহরে বিভিন্ন পোশাকের পুলিশ মন্ডপ এলাকাগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়।
শহরের মোক্তারপাড়া, তেরীবাজার, ছোটবাজার, বড়বাজার, আখড়ার মোড়, থানার মোড়, নাগড়া, সাতপাই রামকৃষ্ণ আশ্রম, কালিমন্দির এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে রিক্সা চলাচলে ওয়ানওয়ে করে দেয়। যাতে কোথাও কোন ট্রাফিক জ্যাম না লাগে। দুর্গোৎসবে ভক্ত পুজারিরা যেনো নিবিঘেœ চলাচল করতে পারে। আর এই সুযোগে পায়ে হেঁেট হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বী এক মন্ডপ থেকে আরেক মন্ডপ পরিদর্শন করেছে উৎসবমুখর পরিবেশে। শহর ঘুরে দেখা গেছে, বটতলা মন্দির, মালনি ত্রিনয়নী মন্দির, নাগড়া শিববাড়ি মন্দিরসহ প্রতিটি মন্দিরে শতশত ভক্ত অনুরাগী। কোথাও তিল ধারণের ঠাই ছিলো না বিজয়া দশমীতেও। ছিলো সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরুর দলীয় পরিদর্শন।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খানের সমন্বয়ে হয়েছে মন্ডপ পরিদর্শন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের সার্কেল এএসপি, থানার ওসিসহ গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী অন্যতম নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ভাটি অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতৃত্ব শফি আহমেদ নিজ এলাকা মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী ছাড়াও নেত্রকোনার বিভিণœ মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
জেলায় এবছর ৫১৬ টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছে । তার মধ্যে নেত্রকোনা পৌরসভাধীন মোট ৫৭ টি মন্ডপে ও ৯ টি ব্যাক্তিগত মন্ডপে অনাড়ম্বর পরিবেশে পূজা উদযাপন হয়।