Monday, May 6, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদনেত্রকোনা সদর উপজেলানেত্রকোনায় জাল সনদে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অভিযোগ

নেত্রকোনায় জাল সনদে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অভিযোগ

আবিদ মোঃ আজরফ, নেত্রকোনা:
নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার দুগিয়া আব্বাসিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। জাল সনদ দেখিয়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়া ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণসহ অর্থ আত্মসাদের অসংখ্য অভিযোগের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি অমিত খান শুভ্র।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, জেলার বেশ কয়েকটি ফাজিল মাদ্রাসার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুগিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসাটি। বিগত ২০১৫ সালের ৭ জুলাই আবুল ফাতাহ মোঃ মহিউদ্দিন খান অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন প্রতিষ্টানটিতে।

কিন্তু নিয়োগ প্রাপ্তিকালে শিক্ষাগত যোগ্যতায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম সাধারণ শাখা মানোন্নয়ন দ্বিতীয় বিভাগে একটি সনদ পত্র দাখিল করেন। যদিও একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে সত্যায়িত হওয়ায় সঠিক রয়েছে ধারনা করেই নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে হলেও মান উন্নয়ন সনদটি জাল হওয়ার বিষয়টি সকলের দৃষ্টি গুচর হয়। তাই অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত অর্ধকোটি টাকারও বেশি উত্তোলন করেছেন অধ্যক্ষ আবুল ফাতাহ মোঃ মহিউদ্দিন। এমতাবস্থায় জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ করেছেন পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি অমিত খান শুভ্র।

এছাড়াও সংবাদকর্মীদের সাথে সাবেক এই সভাপতি মোবাইল ফোনে জানান, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নানা অনিয়ম ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সাথেও অসদাচরণের অভিযোগও রযেছে। সেইসাথে চারিত্রিক ভাবে দূস্কৃতিকারী হওয়ায় নিজের তুলনায় অর্ধ বয়সী এক দিরদ্র ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিন অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা ধামাচাপায় স্ত্রী সন্তান থাকা স্বত্তেও দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমন অনৈতিক কর্মকান্ড, অনিয়ম ও জালিয়াতির বিষয়গুলো কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় নাগরিকদের সামনে প্রকাশ পাওয়ায় পরিচালনা পরিষদে নতুন সভাপতি করে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন।

এদিকে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মূলত নতুন কমিটি করা নিয়ে দ্ব›েদ্ব এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ আবুল ফাতাহ মোঃ মহিউদ্দিন। দাখিলকৃত সকল কাগজপত্রই ঠিক রয়েছে দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গফুর।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি এ কে এম আজহারুল ইসলাম অরুন মোবাইল ফোনে জানান, বিগত সময়ে মাদ্রসা পরিচালনা ও নিয়োগে কি ধরনের অনিয়ম হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানতি সঠিক নিয়মেই পরিচালিত হবে। সেইসাথে অভিযোগরে বিষয়গুলো যাচাই বাচাইয়ের দায়িত্ব মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ড কতৃপক্ষের।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments