নেত্রকোনায় সমাপ্ত হয়েছে ১৫ দিন ব্যাপী বৃক্ষমেলা ২০২২। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মেলায় অংশ নেয়া নার্সারি মালিকদেরকে সনদ পত্র প্রদানের মাধ্যমে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সনদপত্র বিতরণ ও মেলার মাঠ নিয়ে বন বিভাগের প্রতি নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে নার্সারি মালিকদের।
এর আগে “বৃক্ষপ্রানে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মে টেকসই বাংলাদেশ” এ্ই প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ২০ আগস্ট পৌর শহরের মোক্তারপাড়া পুরাতন কালেক্টরেট মাঠ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ এই আয়োজন করেছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মেলায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নার্সারি মালিকদের মাঝে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এসকল পুরস্কার তুলে দেন। এসময় অংশগ্রহণকারীদের সকলকে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্টানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, এডিসি (সার্বিক ) মনির হোসেন, মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ, জেলার বন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, নার্সারী সমিতির সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ সরকার ও সম্পাদক আলী আহমদসহ নার্সারী মালিকগণ।
বন বিভাগরে কর্মকর্তারা জানান, মেলায় সরকারি বেসরকারিসহ মোট ১৭ টি স্টল অংশ নেয়। তার মধ্যে ১১ টি ব্যাক্তি মালিকানা নার্সারি রয়েছে। এবছর ১১ টি নার্সারির সর্বমোট ১৭৪৭৫ টি চারা বিক্রি হয়। এতে আয় হয়েছে ১৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৭১ টাকা।
এদিকে মেলায় অংশ নেয়া নার্সারি মালিকরা জানান, তাদের থেকে অর্থ নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যে পরিমাণ গাছ বিক্রি হয়েছে তারা এর চেয়ে বেশি কাগজে কলমে দেখিয়েছে। কোন ক্যাটাগরি না দেখে যাচাই বাছাই না করেই প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় পুরস্কার দিয়ে দিয়েছে। বন বিভাগের দুর্নীতির কারণে আমাদের নার্সারি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তাদের দাবী। মালিক আনিসুর রহমান রতন সহ প্রত্যেকেই সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েই এসকল অভিযোগ তুলেন। তারা বলেন টাকা আমাদের কষ্ট আমাদের নাম তাদের। স্টলের উপের দোকানগুলোতেও মালিকদের নাম দেয়া হয়নি। তবে বন বিভাগের জেলা কর্মকতা হারুন অর রশিদ বলেন স্টল দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আমাদের কিছু না।
অন্যদিকে মেলায় আসা দর্শনার্থী এবং গাছ প্রেমিকরা জানান, বর্ষাকালে চারা রোপণের উত্তম সময়। অর্থাৎ জুন জুলাই মাসে মেলাটি হলে উপযুক্ত সময়ে হতো। মানুষ প্রচুর গাছ কিনতে পারতো। সন্তানদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসা এক শিক্ষিকা জানান, শিশুদেরকে অবশ্যই গাছের সাথে পরিচয় করাতে হবে। গাছকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে। এটি প্রতিটি শিক্ষক অভিবাবক সকলের দায়িত্ব।