১৫৯ সংসদীয় নেত্রকোনা—৩ (আটপাড়া—কেন্দুয়া) আসনে এবার লড়ছেন তিন এমপি। অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও একই আসনে আওয়ামীলীগেরই তিনজন থাকায় আসনটিতে নির্বাচনী হিসাব ভিন্ন। তাদের তিনজনই সরকারের তিন মেয়াদে এমপি ছিলেন। ফলে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আশংকা করছেন স্থানীয় ও সাধারণ ভোটাররা। আসনটিতে নৌকার সাথে লড়াই হবে একই দলের ঈগল এবং ট্রাকের।
জানা গেছে, আসনটিতে নবম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের কোরাইশী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত হয়ে এমপি হন ইফতেখার উদ্দিন তারুকদার পিন্টু। পরবতীর্তে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। এবার তিন জনই দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান এমপি অসীম কুমার উকিল নৌকার টিকিট পান। যে কারণে বাকী দুজন আসনটিতে স্বতন্ত্র লড়ছেন। মঞ্জুর কাদের কোরাইশী (ঈগল) প্রতীক, ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
যে কারণে দলটির নেতাকমীর্রার তিনটি ভাগে বিভক্ত। ফলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে মুখর থাকবে আসনটি। এদিকে বিবদমান গ্রুপ হওয়ায় সহিংসতার আশংকাও করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে তৃণমূল বিএনপিকে কেউ আমলে না নিলেও সাধারণ মানুষ ভাবছে এরা বিএনপিরই অংশ। ফলে আওয়ামীলীগের ত্রিমুখী লড়ইয়ের ফায়দা নিতে পারে তৃণমূল বিএনপি। এমনটা শঙ্কা করছেন ত্যাগী আওয়ামীলীগের তৃণমুলের নেতারা।
তারা মনে করেন দলের ভেতরের কোন্দালই দলকে ভেঙ্গে চুরে গুড়িয়ে দেবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন পরীক্ষিত নেতা বলেন, আওয়ামীলীগের কোন্দলও বলা যাবে না। এটি অধিপত্যের চেহারা। কে কার চেয়ে সম্পদ কামাবে এটিই মুখ্য বিষয়। যে কারেন সকলেই এমপি হতে চায়। যোগ্য কেউ নেই, যিনি সত্যিকারের মানুষের কথা বলবেন। ফলে আসনটি নিয়ে বেকায়দায় মুর দলও।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামচুর রহমান ভিপি লিটন বলেন, নৌকার বাইরে যাওয়ার কারোর কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর ছায়া হচ্ছে এই নৌকা। দলে কোন কোন্দল গ্রুপিংও দৃশ্যমান হয়নি বলে জানান তিনি।
এ আসনে অন্যরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জসীম উদ্দিন ভঁূঞা (লাঙ্গল), ইসলামি ঐক্যজোট প্রার্থী মোঃ এহ্তেশাম সারওয়ার (মিনার), তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী মিজানুর রহমান খান (সোনালী আশ)।