Saturday, April 27, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদকলমাকান্দা উপজেলাবঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে মামারিতে আহত ১০ জন

বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে মামারিতে আহত ১০ জন

সুস্থ দেহ সুন্দর মন গঠনে প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ ১৭) ২০২২ স্কুল পর্যায়ের শুরু হওয়া খেলায় কলমাকান্দা উপজেলায় দুই ইউনিয়নের মধ্যে মারমারির ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে।

উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিকালে নাজিরপুর ইউনিয়ন বনাম বড়খাপন ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত খেলায় তিন এক গোলে বড়খাপন বিজয়ী হয়। এ ঘটনায় খেলা শেষের সাথে সাথেই দুই দলের খেলোয়ারদের মাঝে ঝগড়া বাধে।

পরে দফায় দফায় আক্রুমণে বিজয়ী দলের খেলোয়াররা আহত হওয়ার খবরে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম নিরাপত্তহীনতার অভিযোগ তুলেন উপজেলা প্রশাসন ও খেলা পরিচালনা কমিটির উপর।

এসময় বিজয়ী টিমের কোচ এবং বড়খাপন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জীবন বলেন, আমাদের ছেলেদের উপর বারবার হামলা করেছে। খেলা পরিচালনা কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আর খেলা চলে না। বঙ্গবন্ধু কাপ খেলাটি অবশ্যই এখানে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিৎ ছিলো। তিনি বলেন আমি খেলার মধ্যে দেখেছি বারবার আঘাতের চেষ্টা করতে। উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসের নেতাকর্মী ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরও আবার হামলা কেন করবে।

বড়খাপন ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কেন্দ্রিক বঙ্গবন্ধু কাপ খেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুর্ধ্ব ১৭ খেলোয়ারদের নিয়ে এসে আমরা তিন এক গোলে জিতেছি। ছোট একটি সৃষ্ট ঘটনাকে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীসহ মীমাংসা করেছি।

এরপর রাস্তায় আসতেই আবার আক্রমণ করেছে পোলাপান। স্কুল পড়–য়া ছেলেরা ধাওয়া করে কলমাকান্দা রেন্টিতলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ফেরানোর কোন অবস্থা ছিলো না। আমরা থানার ওসিকে জানিয়েছি। তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। খেলা পরিচালনা কমিটিও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা এই ঘটনার তদন্তু করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবী করছি। এমন নিরাপত্তাহীনতার জন্য খেলা বর্জন করছি বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন আমাদের ১০ জন আহতদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছে তাকে হাসপাতালে সবাই দেখতে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান বলেন, দুই টিমের খেলা শেষে বিজয়ীরা একটু আধটু এদিক সেদিক কথা বলায় কিছুটা মারামারি হয়েছে। তবে বেশি হয়নি। কেউ হাসপাাতলে ভর্তি হয়নি। চিকৎসা নিয়ে চলে গেছে। যেহেতু হেরেছে তাদেরকে আবার ফুসফাস করে কিছু বললে তো রাগ উঠতেই পারে, যে এমনিই হেরেছি আবার আমাদেরকে নিয়ে ফুসফাস করে। ওই পক্ষও আহত হয়েছে। হয়তো তারা ভর্তি টর্তি হয়নি। পালিয়েছে।

ওসি আরো বলেন আমরাই আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে অনুষ্ঠানে ছিলাম। খবর পেয়ে সেখান থেকে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে অবশ্যই দ্রæততার সাথে অধিক গুরুত্ব নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তবে এ বিষয়ে জানতে আয়েজক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, আজকেই আমাদের মিটিং হয়েছে জেলা কমিটির। এই বিষয়টি তো আমাকে কেউ জানায় নি। খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে জানিয়ে কিছুক্ষণ পর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বলে দেয়া হয়েছে এমন ঘটনা ঘটালে প্রয়োজনে তাদেরকে খেলা থেকে বাদ দিতে হবে। এটি পরিস্কার বলে দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments