Monday, May 6, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদনেত্রকোনা সদর উপজেলামাতৃভাষার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তুলবে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা

মাতৃভাষার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তুলবে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা

বর্তমান অস্তিরতার অপ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে মাতৃভাষার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তুলবে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চায়

একুশের চেতনা সমুন্নিত রাখতে নতুন প্রজন্মের মাঝে সঠিকভাবে ভাষার ব্যবহার ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্টানে আগামী প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার দাবী জানিয়ে অমর একুশে শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুধুমাত্র ফুল দিয়ে নয় নেত্রকোানায় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা আয়োজনে দিবস উদযাপিত হয়েছে। আর এমন আয়োজনে নতুন প্রজন্মের মাঝে চেতনা জাগ্রত হবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন শিক্ষক অভিভাবকরা।

সোমবার প্রতুষ্যে নেত্রকোনা শহরের ছোটবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপশি জেলা শহরের অন্যতম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় গান কবিতা আড্ডাসহ স্কুলের শিশুদের রচননা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার। বিদ্যালয়ের উদ্যোগে নানা বয়সের শিশুদের মাঝে সঠিক শহীদ মিনারের চিত্র আকাঁ এবং শহীদ মিনারের তাৎপর্য নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সেইসাথে তারুন্য নির্ভর একটি সাহিত্য সংগঠণ হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে গানে ও কবিতায় ৫২র ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদ করার ভাষা প্রতিকীভাবে গানে গানেই তুলে ধরা হয় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেই।

এভাবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আয়োজন হলে ভাষার মূল মর্ম সম্পর্কে শিশুরা যেমন জানতে পারবে তেমনি বাংলার চর্চাটাও তাদের ভেতরে জাগ্রত হবে বলে মনে করেন আয়োজকরাও। এতে করে ছোট ছোট শিশুরা মায়ের ভাষা তথা মা এবং মাতৃকাকে গভীর শ্রদ্ধা অঅর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠবে। লোক দেখানো শুধামাত্র আনুষ্ঠানিকতা থেকেও বেরিয়ে আসবে জাতি এমনটাই মনে করেন শিল্পী সাহিত্যিক সংগঠকরা।

নেত্রকোনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত সরকার বলেন, সেই ৫২ থেকে এখনো যদি বলি তাহলে এই একুশের সফলতা পূর্ণতা পায়নি। এখনো আমাদের দেশে নিজ ভাষাকে তাছ্যিল্যের সাথে ব্যবহার করা হয়। ইংরেজি ভাষা নিয়ে যত না মাতামাতি সেই তুলনায় নিজ ভাষার প্রতি তমন মমত্ব নেই। আজকাল শুধুমাত্র অনাষ্ঠানিকতার জন্যই আয়োজন। যা দেখে তেমন কিছু শিখবে বলে শিক্ষার্থীরা আমরা তা মনে হয় না। যে কারনে তিনি মনে করেন এখনই সময় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় আলোচনাসহ সুস্থ সংস্কৃতিক চর্চা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।

তাহলে সত্যিকারের মমত্ব তৈরী হবে। লোকদেখানো প্রেম দিয়ে আর যাই হোক জাতির মেরুদন্ড শক্ত হয় না বলেও তিনি মনে করেন। তিনি হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিও কৃতগজ্ঞতা জানান, তারা যে নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদেরকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments