পড়াশোনার পাশাপাশি কারিকুলাম এক্টিভিটিস বাড়াতে এবং শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে সরকারী শিশু পরিবার (এতিমখানা) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আযোজন করেছে। সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সরাকরী শিশু পরিবার মঙ্গলবার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করেছে।
বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মশালে আগুন ধরিয়ে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরে ছয়টি আঙ্গিকে খেলা শেষে দুপুরে আলোচনা সভা করে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী উপলেক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল, জেলা সমাজসেবার উপ পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক তারেক হোসেনসহ অনেকই। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ছেলে শিশুদের মতো মেয়ে শিশুদের এমন একটি পরিবার প্রয়োজন। যার পরিবার বা বাবা মা থাকবে না সে নিজেকে সমাজে মানুষ হিসেবে এমন একটি পরিবারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। সেইসাথে লেখাপড়া এবং সকল দিক দিয়ে সাধারণ অন্যদের মতো তারাও প্রতিষ্ঠিতভাবে বেঁেচ থাকবে এই সমাজে। সরকার সরকারী শিশু পরিবারের এই সুযোগ করে দেয়ায় আজ নেত্রকোনার এতিম শিশুরা একটি ঠিকানা পেয়েছে। এই ঠিকানা মেয়ে অনাথ শিশুদের জন্যেও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।