প্রতিবছরের ন্যায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এবছর নির্বারিত সময়ে (ফেব্রæয়ারী ২৮ ) কাজ শেষ করার বিপরীতে কাজ শুরুই করেছে অনেকে (২৪ ফ্রেব্রæয়ারী) চার থেকে পাঁচদিন আগে।
এসব নিয়ে গত ১৯ ফেব্রæয়ারী জেলার মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক নিজে গিয়ে পরিদর্শন করে শনাক্তকৃত ১০ জন পিআইসি সভাপতিকে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে আসলেও কাজ হয় নি কিছুই। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়েই এবার পিআইসির মাটি কাটছে কোন রকমে পানি আসার আশায়। যাতে করে বাকি মাটি কাটতে না হয়। এমনটি জানালেন বেশ কযেকজন ভুক্তভোগী কৃষক।
এদিকে শঙ্কায় থাকা কৃষকরা জানায় নিরুপায় তারা। বললে মামলা দিয়ে হয়রানী করবে নেতারা। মেরে ফেলেও রাখতে পারে হাওরে। দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, হাওরাঞ্চলের ১৫৫ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধের জন্য ১৮০ টি (প্রকল্প কমিটি) পিআইসির মাধ্যমে বাঁধের নির্মাণ মেরামত কাজ চলছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়ে অন্যগুলোর কাজ শেষ হলেও খালিয়াজুরীর কাজ শেষ হয়নি। ১৮০ টি পিআইসির মধ্যে শুধু মাত্র খালিয়াজুরীতেই ১১০ টি।
কাজ শেষের পর ২৯ ফেব্রæয়ারী ও ১ মার্চ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ধনু নদীর পারে জগন্নাথপুর হাওর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত বাঁধের কাজে মাত্র মাটি ফেলছে। যা ২৮ তারিখ সম্পূর্ন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।
আরও কথা ছিলো কাবিটা প্রকল্পে শ্রমিক নারী পুরুষদিয়ে এসব কাজ করালে এতোদিনে কার্পেটিনং হয়ে মাটি বসে যেতো।
কিন্তু প্রবাভশালী প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা কাজ দিয়েছেন ঠিকাদারদের। কম টাকায় নতুন নতুন মেশিনের মাধ্যমে একজন বা দুজনকে দিয়েই সিন্ডিকেট করে প্রায় সবার কাজ করাচ্ছেন। তাও আবার নিয়ম বহির্ভত ভাবে বাঁেধর পাশ থেকেই তুলছেন মাটি। ফলে পানি সহায় হয়ে ১০/১২ দিন পিছিয়ে আসলেও ধসে যাবে বাঁধ।
তবে ভেকু শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন তাদেরকে যখন কাজ দেবেন তারা তখনই তো করবেন। ভেকু মালিক শহিদ মিয়া জানান ১৯ শত টাকায় ঘন্টায় মাটি কাটেন। শ্রমিক আলাউদ্দিন জানান ২৫ জানুয়ারী থেকে ১৫০ টাকা ঘন্টায় কাজ করছেন।