নেত্রকোনায় দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যেতে পেরে এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। এতোদিন পর নিজ শিক্ষা পতিষ্ঠানে যেতে পেরে আনন্দে ভাসছে তারা। খুশি অভিভাবক শিক্ষকরাও। অনেকে বাড়ি বসে নিরানন্দ একটি শ্রেণি অতিক্রম করলেও এখন স্কুলে আসতে পেরে আনন্দিত।
অনেকের মধ্যে এস এস সি পাস করে কলেজে এইচ এসসিতে ভর্তি হয়ে দেড় বছর চলে গেলেও জীবনের প্রথম ক্লাসে যেতে পেরে প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে নেত্রকোনা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী পুতুলসহ সবাই।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্লাস নেওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের অভিবাধন জানাচ্ছে কতৃপক্ষ। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার বিষয়টি গায়ে মাখেননি বলেও অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেইটে ইট রাখার দৃশ্য স্কুল খোলার আগের দিনে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত ফেইসবুকে ঘুরেছে। নানা ধরনের মন্তব্যও করেছে স্কুল নিয়ে। পরে রাতেই বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ শিক্ষা কর্মকর্তার নজরে আসলে সেটি পরিস্কার করানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমরা খোঁজ পেয়ে থানা কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে রাতেই পরিস্কার করিয়েছি। কিন্তু এতো আগে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পরিছন্নসহ সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে বলে আসার পরেও ওই স্কুল শিক্ষক কেন তা মানেননি এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলেও জানান জেলা কর্মকর্তা। এরমাঝেই ১১শত স্কুল পরিদর্শন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন আমাদের জেলায় মোট ১৩১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ও ৬ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুরু করেছি। এছাড়াও জেলায় ৩৫৮ টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।
অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে জেলায় ২৭০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার। এছাড়া মাদ্রাসা রয়েছে ৮৯ টি, কলেজ রয়েছে ৪২ টি এবং ৪০ টির মতন ভোকেশনাল বা কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গেছে।