হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় অগ্নিদগ্ধ হওয়া হাবিবা আক্তার হোসনে আরা (২৭) নামের সেই গার্মেন্টস কর্মী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা গেছেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে পরকীয়া প্রেমের স্বীকৃতির দাবিতে এসে অগ্নিদগ্ধ হন।
এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রেরণ করেন। অগ্নিদগ্ধ গার্মেন্টস কর্মী একই উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে। তবে কিভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন সে বিষয়ে কারো থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
এদিকে মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে পুলিশ বলছে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুরো এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
এ ঘটনায়, অগ্নিদগ্ধের বড় ভাই মো. মনজিল মিয়া বাদী হয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ৫ জনকে আসামী করে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণসহ হত্যা উদ্দেশ্যে দহনকারী পদার্থ আগুন দিয়ে গুরুতর জখম আইনে একটি মামলা করেছিলেন।
কেন্দুয়া থানার পুলিশ মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনকে ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার পর নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন না ম›জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ জানান, অগ্নিদগ্ধ গার্মেন্টস কর্মী জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েলেও যাতে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে পুলিশের সর্বোচ্চ নজরদারী রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী মামলাটির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা বলেন, আগুনের বিষয়টি কেউ না দেখলেও যেহেতু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সেহেতু তারা প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মুক্ত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবী করেছেন।