আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে কর্মসূচি প্রনয়ণে এক প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সাড়ে ১১ টায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিবসের কর্মসূচি নিয়ে সভায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আলোচনা করেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিডি এলজি জিয়া আহমেদ সুমন, এডিসি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক তফসির উদফিন খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল আমিন, হিমু পাঠক আড্ডার উপদেষ্টা প্রবীণ সাংবাদিক ও সাবেক প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খান, পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক মারুফ হাসান খান অভ্রসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জাতীয় মহিলা সংস্থা, এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা জানান, হুরোহুড়ি করে কার আগে কে ফুল দেবেন এমন কিছু করা যাবে না। প্রতিবছর এই ধরনের কান্ড ঘটিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই বিষয়টি যাতে সকলে পালন করেন যে জন্য জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
কার আগে কে দেবে এই মনমানসিকতা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। কারণ এখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান জানাতেই আসা হয়। সেটির জন্য নিজেরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে এটি শ্রদ্ধা জানানোতে বেঘাত ঘটে। বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসে। ছবি তুলতে গিয়েও এমন কিছু ঘটনা অতীতে হয়েছে। এসকল বিষয়ে সকলকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। প্রতি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ জনের বেশি আসা যাবে না। অত্যন্ত সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে যেনো প্রতিটি স্তর ও শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারে তাতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।