Saturday, October 5, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদকেন্দুয়া উপজেলাকেন্দুয়ায় জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনীয়ভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কেন্দুয়ায় জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনীয়ভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় মাসকা ইউনিয়নে জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শূণ্য ও দুটি সৃষ্ট পদে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের কার্যক্রম বন্ধে দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার এলাকাবাসীর ব্যানারে বিদ্যালয়ের ভবনের পাশেই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামের মুরুব্বি ইদ্রিস মিয়া সভাপতিত্বে ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবু সিদ্দীক খান পাঠান লিটনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাহমিনা আক্তার, এম আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মাসকা গ্রামের হাবিবুর রহমান, বিদ্যালয়ে সাবেক সভাপতি রামতুষ চন্দ্র বিশ্বশর্মা, ইউপির সদস্য আব্দুল ওয়াহাব খান পাঠান, হাদিস মিমা, পল্লী চিকিৎসক কাজল, লুৎফর রহমান আকন্দ সেলিম মাস্টার, সেলিম আহমেদ, গ্রামের আব্দুল লতিব, মাইনুল ইসলাম, ফজলু রহমান, তারা মিয়া, সাবেক ইউপির সদস্য আব্দুল বারেক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল হক ফকির বাচ্চু মিলে গোপনে বিজ্ঞাপন প্রচার করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগ কার্যক্রমের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির নিয়োগ আমরা মানিনা। অনিয়ম-দুর্নীতির কার্যক্রম বন্ধ না হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সর্বাধিক ভোট পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য তাহমিনা আকন্দ বলেন, আমাকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তিনটি পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া করে যাচ্ছে।

এসব বিষয়ে আমি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায় কমিটি সদস্যপদ থেকে আমাকে নাকি বাদ দেয়া হয়েছে। আমি আমার অধিকার ফিরে পাওয়ার ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কার্যক্রম স্থগিতের জন্য আইনের অশ্রয় নিয়েছি। নেত্রকোনা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল হক ফকির বাচ্চুকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে কিছু তিনি জানেন না। এবং বলার কিছু নেই তার।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেন, করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন তাহমিনা আকন্দ পরিবারসহ এলাকায় ছিলেন না এবং কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না।

অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে নিয়োগের জন্য নৈশ প্রহরী শূণ্য পদে, অফিস সহায়ক ও পরিছন্নতা কর্মী এই দুটি সৃষ্টি পদে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া এবং আবেদন সংগ্রহ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।

চূড়ান্ত নিয়োগে কোন কার্যক্রম এখনো হাতে নেয়া হয়নি। কিছুদিন পরে হঠাৎ এসে মিটিংয়ের রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করবেন বলে খাতা দেখতে চান কমিটির সদস্য তাহমিনা আকন্দ। আমি বলেছি মিটিংয়ে ছিলেন না কেন আপনি স্বাক্ষর করবেন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments