নেত্রকোনায় গরম এক বাতাসে বিভিন্ন হাওরের ধান সাদা হয়ে গেছে। মুহুর্তেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। তবে কৃষকদের হিসাব মতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হলেও কৃষি বিভাগ বলছেন ১৪ হাজর ৪২০ হেক্টর।
আগামীকাল মঙ্গলবার হাওরে আসবে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে একটি টিম। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ জুরেই ধানগাছ সব সাদা হয়ে আছে।
কৃষকরা জানান, রবিবরা সন্ধ্যায় সারাদেশে ঝড়ো হাওয়ার সময় নেত্রকোনায় শুধু ধুলো বাতাস হয়েছে। পরবর্তীতে রাতে প্রায় ঘন্টাখানেক অসম্ভব গরম অনুভত হয়। পরদি সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে কৃষকরা জমিতে গিয়ে দেখেন পুরো সবুজর্ঙ সাদায় পরিণত হয়ে গেছে। কেউ কেউ পথে বসেই মাথায় হাত দিয়েছেন। গতবার করোনায় লাভ হয়নি। এর আগের বার বন্যায় গিয়েছে। এ বছর বন্যায় না ডুবালেও আশ্চর্যজনকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে স্বপ্ন।
জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওরের মল্লিকপুর গ্রামের কৃষক অনুপ তালুকদার জানান, যেগুলোতে দুধ এসেছিলো সেগুলোই এমন হয়েছে। আবার মোটামুটি ধান চলে এসেছে যেগুলোতে সেগুলো নষ্ট হবে না। নীচের অর্থাৎ শেষ দিকের লাগানো জমিগুলোই এমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোন ঝর না কিছু না একটা প্রচন্ড গরম অনুভত হয়। আর এরপরই সকালে আমরা মাঠে এসে এমনটা দেখতে পাই। এ ছাড়াও জেলার মদন বারহাট্টাসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের জমিতে এমন চিটার খবর পাওয়া গেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে হাওরাঞ্চলেই ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ ১৪ হাজার ৪২০ হেক্টর। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ উপজেলায় ১৪ হাজার ৪২০ হেক্টর ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেছে। আমরা সবাই জানি গরম বাতাসে হয়েছে। কিন্তু হিটস্ট্রোক থাকলেও ধানের বেলায় এই শব্দটা নেই। মানুষের বেলায় বলা যায়। ধান গবেষকরা আসবেন মঙ্গলবার। তখন এর কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানান।