নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার দুই স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। (২২ জানুয়ারি) রোববার বিকেলে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ঝানজাইল এলাকার কামরুল ইসলাম বাবুলের নির্মাণাধীন সেমিপাকা বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে৷ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি রুমের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের সাতাশি বাজারের জামাল উদ্দিনের মনোহারি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানের ফ্রিজ,চাল,ডাল,কসমেটিক সহ অন্যান্য মালমাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বিকেলে হঠাৎ ঘরের উপর দিয়ে ধোঁয়া দেখতে পায় বাবুলের ভাইয়ের স্ত্রী শাহানারা আক্তার। পরে সে চিৎকার করলে ঘরের ভিতর থেকে বাবুলের স্ত্রী দ্রুত ঘর থেকে বের হয় পরে তাদের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় এবং খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে,তার আগেই স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অপরদিকে চন্ডিগড় ইউনিয়নের সাতাশি বাজারের জামাল উদ্দিনের মনোহারী দোকানে রাত ২টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখতে পায় বাজারের পাশের বাড়ির আওলাদ হোসেন। পরে তিনি চিৎকার করলে আসপাশের লোক এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় এবং ফায়ারসার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঝানজাইলের ক্ষতিগ্রস্ত বাবুলের ভাই জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন,আমার স্ত্রী ঘরের উপর দিয়ে ধুঁয়া দেখতে পেয়ে ঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। আগুনে ওই ঘরের রুমগুলোতে থাকা টিভি, ফ্রিজ,নগদ টাকা,ঘরের সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সাতাশি বাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায় পরে রাত দুই’টার দিকে ফোন আসে যে দোকানে আগুন লেগেছে। প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভে ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, দুই স্থানে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।