চতুর্থ ধাপের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থনে প্রতীক নিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় চুর্ণ বিচুর্ন হওয়া সিএনজি অটো রিকশার যাত্রী রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার উপজেলার শ্যামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গৌরিপুর রেলগেটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত রফিকুল ইসলাম (৪৫) ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের পুনুরিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। আহতদের মধ্যে জামাল উদ্দিন মেম্বার প্রার্থী। অন্যরা হচ্ছে তাহের উদ্দিনের ছেলে মুখলেছ মিয়া (১৮), হাসিম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫), হযরত আলীর ছেলে কিরণ মিয়া, চাঁন মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া ও অটোরিকশাচলক সজিব মিয়া (১৮)।
সিএনজি অটোরিকশাটির ভেতরে থাকা সবাই মেম্বারপ্রার্থী জামাল উদ্দিনের সমর্থক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জামাল উদ্দিন তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন কার্যালয় থেকে ফুটবল প্রতীক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
এলাকায় যেতে সিএনজি অটোরিকশা যোগে শ্যামগঞ্জ গৌরীপুর রেলগেটে পৌঁছতেই জারিয়া থেকে ছেড়ে আসা বলাকা ট্রেনের সঙ্গে তাদের অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে রেললাইনের পাশে পড়ে যায়। শব্দ শুনে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় অটো রিকশার ভেতর থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে মুখলেছ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার অখিল চন্দ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর স্থানীয়রা নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ, গত কয়দিনে এই রেল সড়কে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।