নেত্রকোনা পৌর শহরের নিউটাউন এলাকায় নিজ ঘর থেকে হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় সত্তোর্ধ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানার পুলিশ।
ঘরের বাইরে থেকে তালা দেয়া অবস্থায় থাকলে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন মডেল থানার ওসি সেখানে রয়েছে তিনি বলতে পারবেন।
স্থানীয় প্রতিবেশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেওয়ান শান্তা আহমেদ জানান, ফেরদৌস মোল্লার বোন সত্তোর্ধ জোসনা বেগম নামের নারী তাদের বাসার পাশে থাকতেন। বিধবা নারীর তিন ছেলে দুই মেয়ে।
বড় ছেলে মিলটন এবং ছেলের পরিবারের সাথেই থাকতেন। দু তিনদিন ধরে পুত্র বধু নেই।
আজ সোমবার আত্মীয় স্বজনরা ফোন দিয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করলে ফোন বাজলেও রিসিভ না করায় খুঁজে আসে কয়েকজন বাসায়। কিন্তু বাইরে থেকে তালা দেয়া ঘরে।
কিন্তু ঘরে মোবাইল ফোন বাজায় তারা অন্য বাসা থেকে মই এনে ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখে ঘরের ভেতরে কিছুটা অগোছালো।
এরপর ভাই ফেরদৌস মোল্লা সহ খবর পেয়ে পুলিশে ছুটে আসে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখে মেছেতে নারীর হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃত দেহ। নিজ শয়ন কক্ষের সাথে অন্য কক্ষে পরে আছে নিথর দেহ।
এদিকে মোবাইল ফোনটি সচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
খবর পেয়ে দুই মেয়ের মধ্যে নেত্রকোনায় থাকা এক মেয়েও ছুটে আসেন। বিষয়টি কি হলো তিনিও বুঝতে পারছেন না বলে জানান। হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা।
এমন একজন বয়স্ক মানুষকে কারা মারতে পারে ধারণা করতে পারছেন না। আবার মোবাইলটিও নেয়নি। বন্ধও করেনি।
এটি আসলে একটি রহস্যজনক হত্যাকান্ড ঘটেছে।
তবে এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসির সাথে কথা বলতে চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি ধরেন নি।