নির্মাণাধীন রাস্তার কাজের তথ্য চাইলে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দিয়ে ঠিকাদারকে সাংবাদিকের ফোন নাম্বার দিয়ে দেয়ায় ব্রিবতকর অবস্থায় পড়েছেন সাংবাদিক। এমন ঘটনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি’র উপ-প্রকৌশলী মো. ইদ্রিছ মিয়ার বিরুদ্ধে।
এমন ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (০৮ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাইফুল আরিফ জুয়েল।
সাংবাদিক জুয়েল জানান, ‘উপজেলা গেইট থেকে সাতুর পর্যন্ত নবনির্মিত রাস্তাটির কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে, স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন ঘুরে অভিযোগের সত্যতা পাই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত¡াবধানে নির্মিত এ রাস্তার কাজের বাজেট বরাদ্দ সহ বিস্তারিত তথ্য জানতে উপ-প্রকৌশলী ইদ্রিছ মিয়াকে ফোন দেই। তিনি তথ্য না দিয়ে প্রথমে বলেন এই কাজের ষ্টিয়ারিং প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এ নিয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই। এমন আরো কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন। পরে হঠাৎ ফোনটি কেটে দিয়ে নাম্বারটি ঠিকাদারের হাতে তুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন দেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। ফলে প্রকোৗশলীর এমন অনৈতিক কাজের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘রবিবার দুপুরে আমি ওই রাস্তা ঘুরে দেখে ছবি তুলেছি। ওইদিন কেউ আমাকে ফোন দেয়নি। সোমবার সকালে ইদ্রিস মিয়ার কাছে তথ্য চাওয়ার দশ মিনিটের মধ্যেই ঠিকাদার আমাকে ফোন করেন। ইদ্রিছ মিয়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে এলাকার রাস্তা-ঘাটের কাজে অনিয়মে সহায়তা করেন বলে নানা অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই।
যে কারণে তিনি ঠিকাদারদের ব্যবহার করে সরকারের অর্থ লোপাট করছেন বলেও সকল সাংবাদিকসহ সুধী সমাজ মনে করেন। যে কারণে তিনি কাজের তথ্য গোপন করাসহ বিভিন্ন খবরা খবর দিয়ে ঠিকাদারকে সহায়তা করেন।
এ বিষয়ে উপ-প্রকৌশলী ইদ্রিছ মিয়া জানান, সাতুর রাস্তার বিষয়ে সাংবাদিক জুয়েল জানতে চাইলে আমি বলেছি একটু পরে দিব। কিন্তু এর মধ্যে ঠিকাদার কিভাবে তার খুঁজ পেয়ে তাকে ফোন দিয়েছে তা আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।