নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে উপজেলা এলজিইডি’র উপ-প্রকৌশলী মো. ইদ্রিছ মিয়াকে তলব করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামান। বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, ইদ্রিস মিয়াকে স্ব শরীরে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি সর্বোাচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি দেখছেন বলেও জানান।
এর আগে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজের তথ্য চাইলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ষ্টিয়ারিং রয়েছে বলে আরো অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দিয়ে ঠিকাদারকে স্থানীয় সাংবাদিকের নাম্বার দিয়ে ফোন দেওয়ায়ে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী।
এ ঘটনায় অস্বাভাবিক বিব্রতকর অবস্থায় পড়া সাংবাদিক প্রতিকার চেয়ে সকল অনয়িমের তথ্য তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল আরিফ জুয়েল এই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা গেইট থেকে সাতুর পর্যন্ত নবনির্মিত রাস্তাটির কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে, স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত এ রাস্তার কাজের বাজেট বরাদ্দ সহ সড়কের তথ্য জানতে চাইলে উপ-প্রকৌশলী ইদ্রিছ মিয়া তথ্য না দিয়ে প্রথমে বলেন, এই কাজের ষ্টিয়ারিং প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এ নিয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই।
এমন আরো কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে হঠাৎ ফোনটি কেটে দিয়ে নাম্বারটি ঠিকাদারের হাতে তুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন দেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। এতে মনে হয় স্বচ্ছ সাংবাদিকতা একটি বিরাট হুমকিতে। তিনি তথ্য দিতে না পারলে অপারগতা প্রকাশ করলেও ক্ষতি ছিলো না। কিন্তু তিনি তা না করে ঠিকাদারদের দিয়ে ত্রেট কারনোর কাজটি ভালো করেন নি। আমাদের তো কারোর সাথেই শত্রুতা নেই। কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ নাগরিকরা। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দপর্নের (সমাজের আয়নার) কাজ করতে চেয়েছি মাত্র। নিউজও হয়নি করার জন্য তথ্য চেয়েছি মাত্র।
তিনি বলে, ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে এলাকার রাস্তা-ঘাটের কাজে অনিয়মে সহায়তা করারও বিস্তর আভিযোগ রয়েছে। এমন ধরনের নানা অভিযোগ নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন। তিনি ঠিকাদারদের সামনে রেখেই এভাবে সরকারী টাকা লুপাট করছেন। আবার দেশররত্ন প্রধানমন্ত্রী যিনি উন্নয়ন করেই যাচ্ছেন উনার নামও বিক্রি করছেন সাধারণ মানুষের কাছে।