দেশব্যাপী সরকারের অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) আওতায় নেত্রকোনাতেও প্রকল্প শুরু হয়েছে। প্রকল্পের হাজিরা খাতায় অতিদরিদ্রদরা মাটি কেটে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট মেরামত করার কথা থাকলেও মোহনগঞ্জ চলছে ভাড়াটে দিয়ে কাজ।
স্থানীয় দরিদ্রদের বাদ দিয়ে ‘মাটি কাটার দল’ ভাড়ায় নিয়ে করা হচ্ছে প্রকল্পের রাস্তা মেরামত। ফলে যাদের জন্য এ প্রকল্প তারাই থাকছেন বাদ। বিফলে যাচ্ছে প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বঞ্চিত হচ্ছে সত্যিকারের উপকারভোগীরা। সড়কে নামে মাত্র মাটি ফেলা হচ্ছে। এমিন অভিযোগ পাওয়া গেছে মোহনগঞ্জের অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে (ইজিপিপি) ।
মোহনগঞ্জ পিআইও অফিস সূত্রে পাওয়া তথ্যে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্র্মসূচি (ইজিপিপি) প্রথম পর্যায়ে সাত ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামতের জন্য মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ এক কোটি ২৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
এরমধ্যে সুয়াইর ইউনিয়নের জনদপুর পশ্চিমের নতুন মসজিদ হইতে জনদপুর রুবেল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের বরাদ্দ ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। এতে ৪৩ জন অতিদরিদ্র লোক প্রতিজনে চারশ টাকা করে ৪০ দিন কাজ করার কথা।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাস্তা মেরামতের স্থানে কোন সাইনবোর্ড নেই। শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের নজরে পরে পার্শ্ববর্তী পাবই গ্রামের ১০-১২ জন ওই রাস্তায় মাটি কাটছে।
তাদের মধ্যে ওসমান গনি, জহিরুল ইসলাম ও আসাদ মিয়া জানান, তারা চুক্তি ভিত্তিক মাটি কাটছেন। তারা ১৫ জন মিলে একটি দল গঠন করে শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটেন। প্রতি হাজার ফিট মাটি ৪ হাজার টাকা দরে এখানে কাটছেন। যদিও দাবি ছিলো পাঁচ হাজার টাকা। পুরো রাস্তা মেরামত প্রায় শেষের দিকে আর ২-৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইকুল মিয়া বলেন, গ্রাামে অতিদরিদ্র লোক পাওয়া যায় না। ফলে মাটি কাটার দল এনে কাজ করাতে হচ্ছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে শুনেছি। সঠিক নিয়মে কাজ না করলে বিল পাবে না। এর আগেও যারা এমনটা করেছে তাদের বিল দেওয়া হয়নি।