নেত্রকোনায় জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমাদানকারী তিন জন প্রার্থীই রয়ে গেছেন। সাধারণ সদস্য পদে আপীল করে দুজনের প্রার্থীতা পেলেও একজন প্রত্যাহার করে নেয়ায় ৩৫ জন রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়াও সংরক্ষিত সদস্য পদে দুজন প্রত্যাহার করায় মোট ১২ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এদিকে জেলার ১০ উপজেলার ৮৪ টি ইউনিয়ন ও ৫ টি পৌরসভায় মোট ১২১১ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করবেন।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ৭৫ এর প্রতিরোধযোদ্ধা এডভোকেট অসিত কুমার সরকার ওরফে সজল মনোনয়ন দাখিল করেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোছা. রহিমা আক্তার (আছমা সুলতানা) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং প্রয়াত জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ফরিদ খানের পুত্র মো. আবু সাহিদ খান জ্যোতি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট অসিত কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাংকের অর্থ ঋণের মামলা থাকার বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ে উঠে আসলেও তিনি নির্বাচনের পরবর্তী সময় পর্যন্ত উচ্চ আদালতের স্তগিতাদেশ দেখিয়ে পার পেয়ে যান। এদিকে (অর্থ ঋণ মামলা নং ১৭৮/২০১৮) দাবীকৃত ২১.৩০ কোটি টাকার চলমান মামলায় ১৭ অক্টোরবর নির্বাচন পরবর্তী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি স্থগিতাদেশ নেন। এতো টাকা ব্যাংকের ঋণ থাকার পরও প্রার্থীতা বাতিল হয়নি। তিনিও টিকে গেছেন নির্বাচনে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ শেখ জানান, সিআইবি অর্থাৎ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে আমরা তালিকা পাঠাই সেই তালিকায় ঋণমুক্ত দেখানো হয়েছে। তবে যাচাই বাছাইয়ের সময় স্থানীয় সোনালি ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপির আপত্তি উঠলে প্রার্থী আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশের রায়ের কপি জমা দেন।