সেহান আহমেদ কাকন,নেত্রকোনা: বিভিন্ন জাতের সবজি অবাদ করে লাভবান হচ্ছেন নেত্রকোনার কৃষকরা। বিশেষ করে উন্নজাতের বেগুনের ভালো ফলনে দাম কিছুটা কম হলেও দীর্ঘ সময় ফলন হওয়ায় লাভের আশা করছেন চাষীরা। এদিকে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ ফলনশীল সবজি আবাদে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে,নেত্রকোনার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, সহ বিভিন্ন উপজেলায় এবার ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল সবিজর আবাদ করেছেন চাষীরা। এরমাঝে বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ও সিংধা ইউনিয়নের কয়েকশত হেক্টর জমিতে ডাব বেগুন ও লতিরাজ কচুর আবাদ করেছেন কৃষকরা। এখানকার উচ্চ ফলনশীল বেগুনের গুনগত মান ও স্বাদে সেরা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে বেশ।
বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবার বাম্পার ফলন হলেও বাজর দর কম পাচ্ছেন তারা। যদিও প্রতিদিন বাগান থেকে ভালো দামে কিনে নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এতে ক্রেতা বিক্রেতা উভই লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তারা। দীর্ঘসময় ফলন দেয়া ও বাজার দর বাড়তে থাকায় সামনের দিনে ভালো লাভের আশা করছেন চাষীরা। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের প্রতিটি বেগুন আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত ওজন হয় বলে জানান কৃষকরা।
গেল কয়েক বছর ধরে বেগুন চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ায় এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকইে। খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ ও পরামর্শ নিতে আসছেন কৃষকেরা।
এদিকে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ ফলনশীল সবজি আবাদে কৃষকদের নানা পরামর্ম দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুর রশিদ। তিনি বলেন, বারহাট্টাসহ জেলার মাটি অত্যান্ত ভালো যে কারনে কিছুটা পরির্যা করেই বিভিন্ন জাতের সবজি আবদ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনা সম্ভব। সেই লক্ষেই বারহাট্টায় স্থানীয় জাতর বেগুন সহ নানা জাতের সবজি আবাদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবার ধান, গম, ভূট্টাসহ প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শষ্যের আবাদ হয়েছে। এরমাছে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতে সবজি আবাদ করেছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন হয়েছে বেশ। আগামীতে আবাদ আরো বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নিবে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।