নেত্রকোনা জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ঘর পেলো ১৭৪ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসকল ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর উদ্বোধন করেন। এসময় দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার সাথে নেত্রকোনার মদন উপজেলাকে ভূমিহীন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
মদন উপজেলা পরিষদের হলরুমে স্থানীয় প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ডিডি এলজি) জিয়া আহমেদ সুমন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফুর রহমান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে উপকার ভোগীদের হাতে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। এদিকে নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে প্রতিবন্ধীসহ ভূমিহীনদের মাঝে দলিল হস্তান্তর করেন। উপকারভোগীরা ঘর পেয়ে আনন্দিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধন্যবাদ জানায়। জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে ঘর পাওয়া ভূমিহীনরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায়। প্রতিবন্ধী মর্জিনা খাতুন ভীষণ খুশি হয়ে ধন্যবাদ জানায়।
এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পাওয়া চা বিক্রেতা নারী দোলেনা জানান, মানুষের বাড়ি বাড়ি থাকা কি যে কষ্টের আর দুর্ভোগের তা আমি জানি। আমি আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরর দেয়া ঘরে থেকে নিজের ঠিকানা পেয়েছি। তিনি আরও অনেক বছর আমাদের জন্য বেঁচে থাকুন এই দোয়া করি।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলায় ২২৩২ টি পরিবার ঘরে বসবাস করছেন। আজ আরও ১৭৪ টি পরিবারে ঘর প্রদান করা হলো। সর্বমোট জেলায় ঘর পেল ২৪০৬ টি ভূমিহীন পরিবার। তারমাঝে মদন উপজেলায় পেলো ২১১ টি পরিবার। এছাড়া খালিয়াজুরীতে ৮৭৮ টি, মোহনগঞ্জ ১৬১ টি, কলমাকান্দায় ২৭১ টি, দুর্গাপুরে ১২৫ টি, কেন্দুয়ায় ২০৩ টি, আটপাড়ায় ১৭৪ টি, বারহাট্টায় ১২০ টি, পূর্বধলায় ১১০ টি ও সদরে ২১১ টি পরিবারকে দেয়া হয়েছে এসব ঘর।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে নেত্রকোনা জেলায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন মোট ৩০৬২ টি পরিবারের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। তারমধ্যে প্রথম পর্যায়ে জেলায় ৯৬০ টি, ২য় পর্যায়ে ৯২৫ টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩৪৭ টি এবং দ্বিতীয় ধাপে আজ ১৭৪ টি ঘর জমিসহ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও তৃতীয় পর্যায়ের ‘ক’শ্রেণির অবশিষ্ট ৫৯৬ টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।