সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনা সদর ও পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠনকে ঘিরে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মী ও পদ প্রত্যাশীদের মাঝে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারন সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নির্দেশনায় যুবলীগকে শক্তিশালী করতে গত ২০ সেপ্টেম্বর সদর ও পূর্বধলা উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুধুমাত্র সভাপতি/সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের কাছে জীবন বৃত্তান্ত আহবান করা হয়। এরপর থেকেই যুবলীগের তৃনমূল ও প্রভাবশালী পদ-প্রত্যাশীরা তাদের সিভি জমা দিতে নানা আয়োজন করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
জামদানের প্রথমদিন শুক্রবার জেলা সদর পৌর শহরে মটরসাইকেল শোভাযাত্রায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা বহন করে ছোট বাজারস্থ আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আনন্দ মিছিল নিয়ে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন পদ-প্রত্যাশীরা। একের পর এক শোভাযাত্রা ও মিছিলে শহরে জ্যাম সৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরেন পৌরবাসী। যদিও কিছুক্ষন পর স্বাভাবিক হয় যানজট।
এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশায় জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর মহানগর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সোহেল। এ সময় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় আনন্দ মিছিল নিয়ে কার্যালয়ে উপস্থিত জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, যুগ্ম আহবায়ক জামিউল ইসলাম খান জামি ও যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান রনির কাছে জীবন বৃত্তান্ত জনা দেন তিনি। এ সময় অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসিত সরকার সজলসহ জেলা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জীবন বৃত্তান্ত জমা শেষে সোহেল জানান, দীর্ঘদিন হয় পূর্বধলায় যুবলীগের কমিটি নেই। বিএনপি আমলে নানা হামলা মামলায় এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করেছি। বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপশি কৃষকলীগের হয়ে কাজ করেছি। স্থানীয়ভাবে পূর্বধলা উপজেলাবাসীর উন্নয়নে নানা কর্মকান্ডে জরিয়ে রয়েছি দীর্ঘদিন। বর্তমানে এলাকাতে যুবলীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। তৃনমূল নেতাকর্মীরা আমাকে চাইছে তাই যুবলীগের সভাপতি হিসেবে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছি। এ ছাড়াও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা মাঈনুল আমিন রিগান তালুকদারও বিশাল আনন্দ মিছিল নিয়ে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।