করোনাকালেও নেত্রকোনায় এবার পাটের ফলন ভালো হওয়ায় এবং ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন পাটচাষীরা। পাট প্রক্রিয়াজাত করণে এবার পুরুদমে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা। এই করোনা সঙ্কটের মাঝেও গত লকডাউনের দীর্ঘ সময়ে পাট তৈরী করতে পেরে কিছুটা আয় হয়েছে স্থানীয় হতদরিদ্র নারী পুরুষ শ্রমজীবিদের। এতে করে নিজ গ্রামে থেকেই করোনা সময়কে কাজে লাগিয়েছেন তারা। পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মাধ্যমে সংসারও চলেছে তাদের।
অন্যেিকে পাটের ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি চাষীরা। এতে আগামীতে পাটের চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও করোনা পরিস্থিতে কয়দিন পরপর লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাট ব্যাবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যদিও আগে এর কয়েকগুন আবাদ হতে এই জেলায়। দিনে দিনে দাম কম পেয়ে এর আবাদ কমতে থাকে।
তবে পুনরায় নেত্রকোনার বারহাট্টা, কেন্দুয়া, মদন, মোহগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাটের আবাদ হয়ে আসছে। বিশেষ করে সেচ সমস্যাসহ নানা প্রতিকুলতায় বছরের অর্ধেক সময় আনাবাদি থাকায় জমিগুলোতে এবছর পাটের আবাদ করেছেন চাষীরা।
করোনা সঙ্কটের মাঝেও বাজারে পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার খুশি তারা। প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায়। পাট তৈরীতে কাজ করে নারী পুরুষ প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুশ টাকা করে আয় করেছেন। ফলে আগামীতে পাটের আবাদ আরো বৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে বরাদ্দ পেলে পাট আবাদে চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী।
তিনি আরো জানান, যে জমিতে পাট চাষ হয় এটিতে পরবতর্ীতে ধানের চাষ খুব ভালো হয়। কারণ পাট চাষের পর জমিতে জৈব সার তৈরী হয়। এটা অনেক উপকারী হয় ধান চাষের কৃষকের জন্যে। তবে সবসময় দাম ভালো পেলে চাষীরা আগ্রহী হবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান তিনি।