হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক প্রতিবন্ধী মৎস্যচাষীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শনিবার রাতে উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের আটিগ্রামের জাজ উদ্দিনের প্রতিবন্ধী ছেলে হেলাল উদ্দিনের পুকুরে ঘটেছে।
এতে ওই প্রতিবন্ধী মৎস্যচাষীর পুকুরে চাষ করা শিং ও দেশীয় জাতের রুই-কাতলাসহ আরো কয়েকটি জাতীয় মাছ নষ্ট হয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে মৎস্য চাষী হেলাল উদ্দিন জানান,নিজে কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না তিনি তাই ৪০ শতকের এই পুকুরটি ৪ বছরের জন্য লীজ নেন ৩ বছর আগে তিনি। এবং এই পুকুরের আয় দিয়েই তিনি পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বর্তমানে পুকুরটি শিং মাছ সাথে বাংলা মাছ চাষ করেছিলেন তিনি। মাছগুলো বিক্রয় করার উপযোগী হয়েছিল। ঈদের পরেই বিক্রয় করতে পারার কথা ছিল। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিষ দিয়ে পুকুরের সব মাছ মেরে ফেলা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাতুল হাসান। তিনি পানির পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বলেছেন পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। পানির কোন সমস্যার কারণে মাছ মারা যাওয়ার কারণ নেই।
ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল উদ্দিন আরো জানান, পুকুরে সেচ দেয়ার মটরটি গত ২ মে চুরি হয়েছে। আমাদের সাথে এলাকার কয়েকজনের শত্রুতা চলে আসছে তারাই হয়ত আমার মটর চুরিসহ এই সর্বনাশ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাতুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, পুকুরের পানির কয়েকটি গুণাগুন পরীক্ষা করে দেখেছি। এতে যা বুঝতে পারলাম পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। পানির কোন সমস্যা কারণে মাছ মারা কথা নয়। আর মাছে বিষক্রিয়ার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার যন্ত্র আমাদের কাছে নেই।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান,খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৎস্যচাষীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা দেয়া হবে