হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে ১৮শত ২০টি পুকুর ও মৎস্য খামার তলিয়ে গিয়েছে।
ফলে পানির সাথে বেরিয়ে গেছে মাছ ও পোনা। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মাছ ও পোনা পানির সাথে বেরিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্য চাষী ও পুকুর মালিক।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে রোববার( ১৯ জুন)রাতে জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে একটি তালিকা করেছি। এ তালিকায় উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি নিচু এলাকা। ঐ সব ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি পুকুর ও মৎস্য খামার মালিকদের পুকুর ও খামার পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে গিয়েছে।
এছাড়া এখনও যে পরিমাণে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা যদি কয়েক দিন অব্যাহত থাকে তাহলে হয়তো বাকি ইউনিয়নের মৎস্য চাষী ও পুকুর মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পরে আর একটি তালিকা করা হবে।
উপজেলা বলাইশিমুল ইউনিয়নের রাজাইল গ্রামের ওলি উল্লাহ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থী জানান পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মৎস্য চাষ করেন, তার দুইটি পুকুরে আনুমানিক ৪ লাখ টাকার শিং মাছ ছিল, যা বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছে। তার মত আরো অনেক চাষীর একই অবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাই তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ দিকে কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ.কে.এম শাহজাহান কবির বলেন, কেন্দুয়া উপজেলায় ৫৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, ২০হেক্টর জমির আউশ ধান, ২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি ও ১৩ হেক্টর জমি পাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছে।