দেশব্যাপী জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাসের ভাড়া বাড়ালেও তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বাসযাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে। কিন্তু সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে সিএনজি চালকরা। গ্যাসে চললেও বাসের ভাড়া বাড়ার আগেই তাদের ভাড়া দিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। বেশি বিপাকে শিক্ষার্থীরা। এদিকে শহরের বিভিন্ন তেলের পাম্পে মোটরসাইকেলে তেল নিতে আসা আরোহীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। তারা বলছেন আমাদের অভিযোগ করার জায়গা নেই। কার কাছে তারা অভিযোগ করলে তাদের কথা সরকার শুনবে এমন জায়গা কেউ পাচ্ছেন না খুঁজে। এদিকে পাম্পের কতৃপক্ষরা জানান আমাদের তো কিছু করার নেই।
জেলা শহরের বিভিন্ন ষ্ট্যান্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসের যাত্রীদের তেমন কোন অভিযোগ না পাওয়া গেলেও গত শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত একই অবস্থা সিএনজি চলাচলে। নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ পূর্বে ৮০ টাকা ভাড়া থাকলেও বাসের ভাড়া বাড়ানোর খবরে গ্যাস চালিত সিএনজির ভাড়া বাড়িয়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত করে ফেলেছে। অটোরিক্সা সিএনজি সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে কমিটি বিলুপ্ত হয়ে পড়ার সুযোগে বেপোরোয়া হয়ে পড়েছে চালকরা। এদিকে নেতারা ভোটের কারণে চালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে বিতর্কে যাচ্ছেন না কেউই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, আগামী মাসে ভোট তাই সিএনজি চালকরা এই সুযোগ নিযেছে। কারন এখন তাদেরকে যে ই ভাড়া নিয়ে কিছু বলবে তাকেই তারা ভোট দেবে না। এমতাবস্তায় কেউ রিক্স নিতে চাচ্ছেননা।
এদিকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক নেতা সাদেক মিয়া জানান, বাসের ভাড়া বাড়লেও আমাদের মালিকপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা পূর্বের সরকারী রেইট থেকেও কম নিচ্ছি। যাত্রীদের সুবিদার্তে আমরা নেত্রকোনা ঢাকা পর্যন্ত গেইটলক ছিলো ৩৫৮ টাকা। এর স্থলে আমরা নিতাম ৩০০ টাকা। এখন রবিবার থেকে ওই ৩৫৮ টাকার সাথে প্রতি মাইলে ৪০ পয়সা করে বাড়লেও আমরা ৩৫০ টাকাই নিচ্ছি। লোকাল বাসেও একই অবস্থা রেইট থেকে কমই নেয়া হচ্ছে।
শাহজালাল বাসের নেত্রকোনা কাউন্টার থেকে টিকিট মাস্টার গোলাম বাবু বলেন, আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে আগেও কম রেখেছি এখনো কম নিচ্ছি। কাউন্টার থেকে বাড়তি কোন ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। বাইরের বিষয়ে আমরা জানিনা।
এব ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আমরা বাস মালিক সমিতিকে অনুরোধ করেছিলাম দুয়েকদিন ভাড়া না বাড়ালে কোন ক্ষতি হবে না। আমরা একসাথে বসে সাধারণ যাত্রীদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা করি করবো। এতে তারাও রাজি হয়েছেন। পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সিএনজি চালকরা যদি কোন রকম সুযোগ নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে এ ব্যাপারে অবশ্যই কঠোর ভূমিকা নেয়া হবে বলেও তিনি আশ^াস প্রদান করেন।