নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করার পর প্রেমিক মাহবুব আলমের (২৫) বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে তরুণী। বিয়ের প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে বিয়ে না করায় শনিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে মাহবুবের কলমাকান্দা সদরের চাঁনপুর বাসায় গিয়ে অবস্থান করে ওই তরুণী। এরপর খবর পেয়ে রবিবার সকালে কলমাকান্দা থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে তরুণী নিজেই বাদী হয়ে প্রেমিক মাহবুবের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত মাহবুব উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের মৃত—হেলিম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ওই তরুণীর বরাত দিয়ে জানায়, গত প্রায় সাত বছর আগে মাহবুবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত শনিবার সকালে মাহবুব বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে খবর দিয়ে আনলে সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরাসহ কেনাকাটা করেন তারা। পরে সন্ধ্যায় মাহবুব তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলে। কিন্তু কিছুসময় পর মাহবুবের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তরুণীর সন্দেহ হয়। তখন নিজ বাড়িতে না গিয়ে প্রেমিকের বাড়ি কলমাকান্দা সদরের চাঁনপুর এলাকায় মাহবুবের বাসায় চলে যায় তরুণী। সেখানে গেলে মাহবুবের বড় ভাইয়ের স্ত্রী হেনা আক্তার তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে সে রাজি না হলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে ঘরের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরদিন সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হেনা আক্তার তাকে মারধর করে। এরপর মূল গেইটে তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান ভাবি ও মাহবুবের মা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত মাহবুব ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম (পিপিএম) বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওই তরুণী বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। মাহবুব দেশের বাইরে থেকে এসেছে। তরুণীর বয়স ২০ অথবা ২২ হবে। তিনি ডিগ্রীতে পড়েন বলেও জানায়। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।