ভোটার তালিকায় মৃত উল্লেখ থাকায় নানা সমস্যায় ভুগছিলেন নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার আব্দুল আওয়াল নামের এক যুবক। ৩১ বছর বয়সী এই যুবক জানেন না কেন তাকে মৃত দেখানো হলো। কিন্তু জীবিত থাকার পরও চলমান জীবনে নানা সমস্যায় ছিলেন তিনি মৃত হিসেবে।
এরপর বিভিন্ন প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদনের প্রেক্ষিতে অবশেষে বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তিনি জীবিত হিসেবে উল্লেখ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিস।
আব্দুল আওয়াল মদন পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। স্ত্রী নিয়ে বাবার বাসায় থাকেন। মা ও ভাইরা একই বাসায় থাকলেও তারাও ভিন্ন ভিন্ন কারনে গত কদিন ধরে অন্য বাড়িতে রযেছেন বলে জানা গেছে। তবে ছোট ভাই হোসাইন আহমেদ পরাগ জানান তাদের পরিবার থেকে এমন তথ্য দেয়া হয়নি। হয়তো প্রিন্ট মিসটেক হতে পারে। বর্তমানে আওয়াল মদনের একটি বেসরকারী এনজিওতে চাকুরিসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত।
জানা গেছে, গত ২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদে আব্দুল আওয়ালকে মৃত উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে আইডির তেমন বেশি প্রয়োজন না হওয়ায় তিনি জানতেন না। পরে যখন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখন ভোট দিতে গেলে নামে মৃত বেরিয়ে আসে আব্দুল আওয়াল। এতোদিন পুরোনো আইডি ব্যাবহার করেই চলেছেন। এরপর থেকে খোঁজ নিয়ে দেখেন তিনি ২০১২ সনে মৃত হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছেন। তখন সংশোধনের জন্য সর্বশেষ গত ২০১৭ সনে আবেদন করেন তিনি।
তবে পরিবার থেকে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ভাই ও মাকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন। তারা এমন কিছু বলেননি। কিন্তু যাদের ভুলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা হয়রনী হয়েছেন সে বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা নেযার দাবী জানিযেছেন।
এদিকে মদন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ হামিদ ইকবাল জানান, ভোটার তালিকায় সংযোজন বিযোজন করা হয় যখন হালনাগাদ হয়। তখন তথ্য দাতা এবং গ্রহিতাদের মাধ্যমে তথ্য সংযুক্ত হয়। এটি কেন হয়েছিলো তা খতিয়ে দেখা হবে, সেইসাথে নির্বাচন কমিশিন যে ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলে তাই নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে একই সমস্যা পাওয়া গেছে উপজেলার আরও তিনজনের বেলায়। তাদের ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশনে সকল তথ্য পাঠিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন