নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চুরি করাকালে হাতে নাতে এলাকাবাসীর হাতে ধৃত হয়েছে সেলিম মিয়া (৫০) নামে এক পেশাদার চোর। তার বাড়ি মাদারিপুর জেলায়। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের দক্ষিণ দৌলতপুর এলাকায় মাহবুবুল আলমের বাসায় দিনে দুপুরে এমন সংঘব্ধ চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় আটক চোর সেলিম মিয়াকে। এদিকে চুরির সময় ধরা পড়ায় সাথে থাকা অন্য তিনজন পালিয়ে যায়।
পুািলশ জানায়, সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারা চারজন ঢাকার গাজীপুরের একটি বাসায় ভাড়া থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি সংঘঠিত করে আসছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহবুবুল আলম একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মোহনগঞ্জে কর্মরত। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায়। তিনি মহিলা কলেজের পেছনের একটি বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। প্রতিদিনের মতো তিনি সকালে হাসপাতালসহ বিভিন্ন চেম্বারে ডাক্তার ভিজিট করতে চলে যান। এদিকে বেলা ১১টার দিকে স্ত্রীও চলে যান বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে। এই সুযোগে বুধবার বাসার দরজার লক ভেঙে চুরি করতে ঢুকে সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল। কিন্তু হঠাৎ জরুরী কাজে একটা দরকারি কাগজ খুঁজতে বাসায় ফিরে আসেন মাহবুবুল আলম। রুমের ভেতর চোরদের দেখে চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। এরমধ্যেই চোরেরা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালায়।
কিন্ত এক চোরকে পালানোর সময় বাসার সামনের রাস্তায় ঝাপটে ধরেন মাহবুবুল। পরে এলাকাবাসীও এসে হাজির হলে ওই চোর ধৃত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসলে এলাকাবাসী ওই চোরকে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিুকল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটক সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাসায় চুরির সময় চারজন ছিলো। দুইজন বাহিরে পাহাড়া দেয় এবং দুইজন বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে বাসার ভেতর চুরি করতে ঢুকে।
এ ঘটনায় সেলিমের নামে মামলা দিয়ে বিকালে আদালতে পাঠানো হয়। তার দেয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া সঙ্গীদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরও জানান, চুরি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে।