এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা
নেত্রকোনায় সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে ঘন ঘন মামলা দেয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ট্রাফিক পুলিশকে মারধর এবং সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটিয়েছে।
সোমবার (২২জানুয়ারি) কুরপাড় পেট্রোল পাম্পের সামনের সড়কে এ মারধর এবং সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।
নেত্রকোনা জেলা অটো টেম্পু, অটো রিকশা ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য চালকরা ক্ষুভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, নেত্রকোনা জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস দায়িত্বে আসার পর থেকেই ট্রাফিক পুলিশ জেলা শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে নানা অজুহাতে একই গাড়ির বিরুদ্ধে মাসে ৩/৪ বার মামলা দিচ্ছে। বর্তমান দূরমূল্যের বাজারে সিএনজি চালকরা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন চালাতে যেখানে হিমসম খাচ্ছে, সেখানে আবার মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে (টিআই) মৃদুল রঞ্জন দাসের অত্যাচার।
তারা আরও বলেন ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, অনেক সময় তারা শ্রমিকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও বাবা-মাকে তুলেও গালিগালাজ করে।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুড়পারস্থ সিএনজি স্টেন্ডে এসে ট্রাফিক পুলিশ আকবর মামলা দিলে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাসের অপসারনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
কুড়পারে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের (এএসআই) আকবর হোসেন জানায়, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা আজ কুড়পার এলকায় তিনটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেই। এসময় শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুইটি গাড়ি জোর করে ছাড়িয়ে নেয়। আমরা তাদেরকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানালে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ারের লোকেরা আমাকে মারধর করে।
ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে জেলা অটো টেম্পু, অটো রিকশা ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল শেখ বিল্লাল সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি, আমরা পুলিশ শ্রমিক ভাই ভাই, সবসময় মিলে মিশে থাকতে চাই।
নেত্রকোনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন শেখ বলেন, কোন নিরপরাধ শ্রমিক যেন মামলার হয়রানির শিকার না হয়।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুলিশের সাথে সিএনজি শ্রমিকদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল, নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করে উদ্ভুত পরিস্থিতি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পরে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয় ও দুপুর ১টার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।