নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জন ও সিএনজি চালক সহ ৭জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
রবিবার দুপুরে নেত্রকোনা ময়মনসিংহ সড়কের তারাকান্দা থানার ফুলপুর গাছতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, আগিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়ালেঞ্জি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪০), মাওলানা ফারুক আহামেদ (৩০), ফারুকের স্ত্রী মাসুমা আক্তার (২২), নবজাতক ছেলে শিশু, বোন জুলেখা বেগম (২২) ও নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী জোৎস্না বেগম (৩৫) ও ময়মনসিংহ সদরের চর লক্ষিপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক রাকিবুল হাসান সোহাগ (২৯)।
স্বজনরা জানান, গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিজার করতে ময়মনসিংহ যায় ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার শিশু পুত্রের জন্ম নিলে ঠান্ডা জনিত কারনে শিশুর চিকিৎসার জন্য আরো দুদিন থাকেন।
পরে শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড় দিলেও কুয়াশার ভয়ে রাতে আর আসেননি। পরবর্তীতে আজ সকালে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ থেকে সিএনজি যোগে নিজ বাড়িতে আসার পথে এমন সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা।
এলাকাবাসী অভিযোগ বেপরোয়া চালকদের গাফিলতির কারণেই এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল বন্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ঘাতক বাসটিকে আটক করতে পারলেও চালক পলাতক রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা সহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আবদূর রহমান।