নেত্রকোনা জেলার হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষায় আগাম বন্যার পূর্বাভাস ও প্রস্তুতি নিয়ে মত বিনিময় ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী মহড়া নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পানি উন্নয়ন বোর্ড, আবহাওয়া অধিদপ্তর, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মহড়ায় গুরুত্বপূর্ণ সকল দপ্তরের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে মহড়ায় জেলা সদর ও খালিয়াজুরী অঞ্চলের কৃষকসহ জনপ্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজের সভাপতিত্বে আকস্মিক বন্যা নিয়ন্ত্রণে আগাম কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে আলোচনা করেন ডিডিএমের এম আই এম পরিচালক ও জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী নিতাই চন্দ্র দে সরকার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় মহড়ায় স্থানীয় উদ্যোগ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, খালিয়াজুরী লাইভ স্টক অফিসার ডা. মতিয়ার রহমানসহ অন্যরা।
মহড়ায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস স্লাইড প্রদর্শন করেন জুনিয়র প্রজেক্ট স্পেশালিষ্ট (ফাও) মো. সালাউদ্দিন। দুর্যোগের সাত দিন ও তিন দিন পুর্বের পূর্বাভাস নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করেন জাতীয় প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট (ফাও) মাজহারুল আজিজ, ডেভিড খান, আজিজুন্নাহার তানিয়া, সমীরণ কুমার সিং, ফৌজিয়া নিশাত, নাজনীন আহমেদ।
দুদিন ব্যাপী বাংলাদেশের উত্তর পুর্ব হাওর অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা নিয়ন্ত্রণে করনীয় নিয়ে আবহাওয়ার আগাম আভাস সংক্রান্ত এই মহড়া করা হয়। তারা বলেন, কমপক্ষে সাত দিন এবং তিন আগে এই পূর্বভাস জেনে গেলে সে অনুযায়ী সকলের প্রস্তুতি থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। এতে করে ফসল রক্ষায় আগাম সতর্কতায় কৃষকরা নিজেরাও সচেষ্ট থাকবেন বলে মনে করেন আয়োজকরা।
সাত দিনের পূর্বাভাস পাওয়া গেলে ধারণা নেয়া যাবে বৃষ্টি ১৪৪ মিলিমিটার হলে বন্যা হবে এটি নিশ্চিত হয়ে তখন সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া যাবে। এছাড়া ১০৯০ হটলাইনে ফোন দিয়ে জানা যাবে কিভাবে কি করা যাবে। মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া সহ এপ্সের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে।