সোহান আহমেদ:
হাওরাঞ্চলে এরইমধ্যে ৮০ ভাগ ধান কেটে ফেলা হয়েছে। এ বছর বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে আগেভাগেই আধা পাঁকা ধান কেটেছেন কৃষকরা। এতে বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
এমতাস্থায় হাওরের একমাত্র ফসল রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি করছেন হাওরবাসী। আগামী বছরের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ গুলোর স্থায়ী ব্যবস্থার আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
জানা গেছে, প্রতিবছরই একমাত্র ফসল ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কে দিন কাটে হাওরবাসীর। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। অধিকাংশ ধান কাঁচা থাকতেই ধনু নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে যায় তীরবর্তী কয়েকশত হেক্টর জমি। খবর পেয়ে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধগুলো সার্বক্ষণিক মেরামত করায় কীর্তনখোলাসহ বিভিন্ন বাঁধে অসংখ্য ফাটল ধরলেও ভেঙে যায়নি।
কিন্তু ফসল ডুবির আতঙ্কে আধা পাঁকা ধানই কাটতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকেরা। ফলে ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এরইমধ্যে হাওরের ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর। প্রতি বছর এমন আতঙ্ক থেকে মুক্তিতে হাওরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি করেছেন কৃষকরা। পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাঁধগুলো পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। আগামী বছরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এদিকে এরইমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত। শুধুমাত্র আশ্বাস নয়, প্রতিবছর মাটির বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ না দিয়ে একমাত্র ফসল রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ নিবেন কর্তৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা হাওরবাসীর।