নেত্রকোনায় ৩০ ঘন্টা পরে মিলেছে গ্যাস সংযোগ। শনিবার রাত ১২ টা থেকে পরিপূর্নভাবে চালু হয় গত শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ থাকা গ্যাস সংযোগ। নানা ভোগান্তি শেষে মানুষের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি।
জানা গেছে, শুকিয়ে থাকা সোয়াই নদীর ভেতর দিয়ে তিতাস গ্যাসের ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা লাইনের সঞ্চালন পাইপ আনা হয় প্রায় দেড় যুগ আগে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নদীটির ২৩ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু হয়েছে। গত চার পাঁচদিন ধরে শ্যামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা ময়লাকান্দার ডেঙ্গা গ্রামে শুক্রবার নদী খননের ১০ ফিটের গভীরতার ৫ ফিট খনন করতেই ভেকুতে লেগে গ্যাসের পাইপ লিক হয়ে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে রাত ৯ টার দিকে গ্যাস কতৃপক্ষ নেত্রকোনা জেলা শহরে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়। পরদিন শনিবার লাল ফিতায় জায়গাটি আটকে রেখে দেয় গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খনন কাজ বন্ধ রেখে শনিবার দিনভর পাহাড়া দেয় স্থানীয় ও খনন কাজের লোকজন। শুধুমাত্র পাইপ কেটে ভালো পাইপ লাগিয়ে দিতে লেগে যায় পুরো দিন। স্থানীয়দের অভিযোগ দিনভর আসি আসি করে সময় ক্ষেপন করে কতৃপক্ষ। এছাড়াও শত শত বছরের পুরনো এই নদীর ভেতর দিয়ে কোন সাংকেতিক চিহ্ন ছাড়াই গ্যাসের লাইন দেয়াকে অপরিকল্পিত দায়সারা কাজ বলছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবী কোন ধরনের চিহ্ন থাকলে হয়তো এটি কাটা পড়তো না। বা গভীরে দেয়া দরকার ছিলো। অবশেষে সকলের চাপে শনিবার সন্ধ্যার আগে থেকে পাইপের মেরামত কাজ শুরু হয় পুনরায়। পরে রাত ১২ টার দিকে গ্যাস সংযোগ চালু হয় নেত্রকোনা জেলা সদরের।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা তিতাস গ্যাসের অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুমঙ্গল গোলদার বলেন, এটি তিতাস গ্যাসের ট্রান্সমিশন লাইন ১৯৯৩ বা ৯৪ সনে বসেছে। এটি কিভাবে হয়েছে আমার জানা নেই। আমি এখানে পৌরশহরের গ্যাস বিতরণ ও রাজস্ব আদায়ের কাজ করি। তবে তিনি বলেন নদী ক্রস করলে সেটি গভীর দিয়ে নিতে হয়। এদিকে পাইপ কেটে সংযোগ দিতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ঠিকাদার মালামাল নিয়ে আসার জন্য হয়তো কিছুটা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব না থাকার পরেও আমার গ্রাহকদের সাফার করার কারনে আমি দৌড়াদৌড়ি করেছি। সকলের কথা চুপচাপ শুনেছি। তবে এটির ভবিষ্যতের ভাবনায় কি করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আমাদের ডির্পাটমেন্ট কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।