সমাজের চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অসংগতি এবং নারী শিশুর সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করতে একমাত্র পারিবারিক শিক্ষাই যথেষ্ট। শুধুমাত্র নারী শিশু নয়, সকল মানুষের অধিকার এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবারের ভূমিকার উপর জোর দেয়া এখন সময়ের দাবী।
নেত্রকোনায় গ্রামীণ পর্যায়ের নারী ও কন্যা শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শিবগঞ্জ সড়কের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা স্বাবলম্বী কার্যালয়ের ড্রিম সেন্টারে এক ত্রৈমাসিক আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রকল্পের আওতায় উপজেলা নেটওয়ার্ক।
এতে জেলার সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রæপের লিডারগণ অংশ নেন। সভায় এছাড়াও পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেটওয়ার্কের সদর উপজেলা সভাপতি নুরজাহান আক্তারের সভাপতিত্বে কেন এবং কি কারণে সমাজে নারী শিশুদের উপর বর্বরোচিত নির্যাতন এবং নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে সেই কারণগুলো উল্লেখ করে সভায় অতিথিদের মধ্যে বিশদ আলোচনা করেন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তুহিন আক্তার, জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলপনা বেগম ও মডেল থানার নারী শিশু ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহানারা আক্তার।
তারা আরো বলেন, পারিারিকভাবে একজন মানুষ সচেতন হয়ে উঠলে সমাজে নিজেই নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। পাশাপাশি অন্যের অধিকার সম্পর্কেও সেই শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত একজন মানুষ শ্রদ্ধাশীল আচরণের অধিকারী হয়ে উঠবে। কারণ পরিবারগুলোর সমন্বয়েই একটি সমাজ ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়।
এজন্যই পারিবারিকভাবে নারী শিশুকে সমানতালে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পাশাপাশি ছেলে মেয়ে উভয়কেই সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। আর এই পারিবারিক শিক্ষাস্থলের মূল চালিকা শক্তি হবে পূর্বের ন্যায় বাঙালিদের যৌথ পরিবার। এটি শুধুমাত্র ঐহিত্য নয়। একটি শিশুর মানসিক অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বাবলম্বীর কর্মসূচী পরিচালক লেখক স্বপন পাল, আব্বাসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ আহমেদ জয়নাল, নেটওয়ার্ক সমন্বয়কারী এস এম রেজাউল হক মামুন ও মো. আলমগাীর প্রমুখ।